এক অবিশ্বাস্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনের পর। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নিয়ম না মেনেই তিনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগের পত্র জমা করেছেন। সংবিধান মেনে তিনি এই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও দেখুন, Election Live Update- এবার ভাঙনের মুখে সিপিএম, দল ছাড়তে পারেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মন্ডল
আরও পড়ুন, হলদিবাড়ি থেকে ট্রেনে এবার বাংলাদেশ, মোদি-হাসিনার সভার দিনেই চলুন কোচবিহার প্যালেস
পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করার ঠিক কী যুক্তি দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তৃণমূল সরকার থেকে পদত্যাগ করতে হলে শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সামনে হাজির হতে হত। এমনকী, পদত্যাগপত্র তাঁর সামনেই হাতে লিখে তাতে সই করতে হত শুভেন্দু-কে। কার্যক্ষেত্রে এসব কিছুই করা হয়নি। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি যখন দপ্তরে ছিলেন না সেই সময় বিধানসভায় আসেন শুভেন্দু। ঘড়ির কাঁটা তখন বিকেল ৪টা ছুঁয়েছিল বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তাঁর দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, 'অবৈধ পাচারকারীরা' BJPতে এলে মানবেন না, জিতেন্দ্র প্রসঙ্গে বিস্ফোরক বাবুল
কাঠগড়ায় 'তারিখ'
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন,শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর একটি ইমেল আসে অধ্যক্ষের অ্যাকাউন্টে। সেখানে যে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছিল তাতে তারিখের উল্লেখ ছিল। অথচ, যে চিঠি বিধানসভায় এসে জমা করেছিলেন শুভেন্দু তাতে কোনও তারিখের উল্লেখ ছিল না। একই ব্যক্তি একই দিনে দুটি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তারিখ নিয়ে যে বিভ্রান্তু তৈরি করেছে তা একটা গুরুতর সমস্যা। সুতরাং, সংবিধানে বর্ণিত দায়বদ্ধে এমন ত্রুটি যুক্ত পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে পারেন না।
আরও পড়ুন, 'ডিসেম্বর মাসটা ইতিহাসে লেখা থাকবে', শনিবারের আগেই শুভেন্দুকে নিয়ে মুখে খুলে ফেললেন দিলীপ
তবে কি শুভেন্দুর সিদ্ধান্ত নিয়ে চলবে তদন্ত
শুভেন্দু-কে সোমবার বেলা ২টোর সময় শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু তাঁর সামনে হাজির হয়ে পদত্যাগের বিধি পালন করতে রাজি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে, শুভেন্দু এসে পদত্যাগপত্র জমা করলেই হবে না, পদত্যাগের কারণ অধ্যক্ষের কাছে বোধগম্য হলে তবে তা গৃহীত হবে। এমনকী, শুভেন্দু কোনও চাপে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।