এই ঘটনায় ভোররাতে সন্তোষ মহন্ত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনে ব্যবহার করা আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের আশপাশে সকাল থেকেই বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে ইটাহার থানার (Itahar Police Station) রাজগঞ্জ এলাকায় বিজেপির যুব নেতা (BJP Leader) মিঠুন ঘোষকে (Mithun Ghosh) গুলি করে খুনের ঘটনায় রাত থেকেই তদন্ত (Investigation) শুরু করেছিল পুলিশ। রাত থেকেই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করা হয়। পরিবার ও তাঁর দলের তরফে এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও কী কারণে মিঠুনকে খুন করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। খুনের মোটিভ নিয়ে ধন্ধে রয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনায় ভোররাতে সন্তোষ মহন্ত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। খুনে ব্যবহার করা আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের আশপাশে সকাল থেকেই বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই মিঠুনকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা (Miscreants)। গতকাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন মিঠুন। এরপর বাড়িতে ঢুকে তিনি নিজের বাইকটি রাখেন। তারপরই তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। দুষ্কৃতীরাই তাঁকে ফোন করে ডেকেছিল বলে অভিযোগ। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ (Point-blank range) থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি করা হয়।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের দুর্গাপুজোয় হিংসা, আজ জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি
ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মিঠুন। সঙ্গে সঙ্গে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত বিজেপি নেতার মায়ের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। কেন মিঠুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক কারণ বলতে পারেননি গ্রামের বাসিন্দা থেকে পরিবারের সদস্য কেউই।
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে অজানা জ্বরের প্রকোপ মুর্শিদাবাদে, আক্রান্ত বহু শিশু
এদিকে বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় ইটাহারের রাজগঞ্জ গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামের মধ্যে চাপা আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইটাহার থানার পুলিশ খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার সকালেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্তোষ মহন্ত নামে এক দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক মুশারফ হুসেন। দলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।