অসুস্থদের প্রথমে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে কয়েক জনকে সঙ্কটজনক অবস্থায় মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
গ্রামের এক মিষ্টি বিক্রেতার (Sweet seller) কাছ থেকে মিহিদানা খেয়েই ঘটল চরম বিপত্তি। মিহিদানা খাওয়ার পর একের পর এক কমপক্ষে ৪০ জন (40 people fell ill) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আমলাই এলাকায়। অসুস্থদের প্রথমে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (health center) নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে কয়েক জনকে সঙ্কটজনক অবস্থায় মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামেরই এক মিষ্টি বিক্রেতা বহু বছর ধরেই ওই গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গিয়ে মিষ্টি বিক্রি করেন। গ্রামবাসীরা প্রায়ই তাঁর থেকে মিষ্টি কেনেন। সম্প্রতি তিনি মিষ্টি বিক্রি করতে গেলে তাঁর থেকে মিহিদানা কেনেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু মিহিদানা খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাই অসুস্থ হতে শুরু করেন। সবার শরীরেই একই উপসর্গ দেখা যায়। ঘন ঘন বমি আর তার সঙ্গে পেট খারাপ। এভাবে একের পর এক বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- নিখোঁজ ছিলেন রাত থেকে, সকালেই মাঠ থেকে উদ্ধার যুবক-যুবতীর রক্তাক্ত দেহ
আরও পড়ুন- 'দিলীপ ঘোষ বুঝতে পারেন না, কারা হাততালি দেয়', চটলেন চন্দ্রিমা
গ্রামের ছোট থেকে বড় সবাই যাঁরা মিহিদানা খেয়েছিলেন তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক হতে শুরু করায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। মিহিদানা খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, "প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও ধীরে ধীরে আমরা দেখি যে সবার প্রথমে বাড়ির বাচ্চাদের বমি শুরু হয়। আর তার সঙ্গে পেট খারাপ। তারপর বড়দের শরীরেও একই উপসর্গ দেখা যায়। তারা ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছে দেখে আমরা ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই। খাবারে বিষক্রিয়ার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা"
এ প্রসঙ্গে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অবিনাশ কুমার বলেন, "প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্যই অসুস্থতা। এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি জনকে ভর্তি হাসপাতালে করা হয়েছে। সবার চিকিৎসা চলছে সকলের।" এই ঘটনার কথা পুলিশকেও জানান স্থানীয়রা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই মিহিদানা বিক্রেতার খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই বিক্রেতার থেকে কোনওরকম মিষ্টি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ওই বিক্রেতার কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার পর যে এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটবে তা ভাবতেই পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।