সংক্ষিপ্ত
হুমকির অভিযোগে এবার ফিরহাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ত্রিপুরায়। জানা গিয়েছে, সোহেল রানা নামে ত্রিপুরার এক স্থানীয় বিজেপি নেতা ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হুমকির অভিযোগে এবার ফিরহাদের (Firhad Hakim)বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ত্রিপুরায় (Tripura)। উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় তৃণমূল পদক্ষেপ ফেলতেই যুব নেতার গ্রেফতার হওয়া থেকে শুরু করে অভিষেক, কুণাল সহ পাঁচ হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে মামালা দায়ের করা হয়েছে। এরপর একাধিক বার বাধার মুখে পড়ার পর সদ্য সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। আর এবার বাংলার পরিবহণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল (Tripura CM Biplab Kumar Deb)বিপ্লব দেবের রাজ্যের সোনামুড়া থানা।
জানা গিয়েছে, সোহেল রানা নামে ত্রিপুরার এক স্থানীয় বিজেপি নেতা ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই ৫০৬ ধারায় পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপরে মামলা দায়ের করেছে ত্রিপুরার সোনামুড়া থানার পুলিশ। ফিরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি সোনামুড়ায় তৃণমূলের হয়ে ভোটের প্রচার করতে গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি কয়েকজনকে মারধরের হুমকিও দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, তৃণমূলের হয়েই প্রচারে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। শনিবার আগরতলায় দশ নম্বর ওয়ার্ডে একটি সভায় তিনি উপস্থিত থাকার সময় বিজেপির বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়োদেরও ঘেরাও করে রাখা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh-Babul Supriyo: 'বামেরা নয়, প্রকৃত সর্বহারা একজনই, বাবুল সুপ্রিয়', বললেন দিলীপ
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে বিপুল জয়ের পর ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। এদিকে সেই লক্ষ্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরায় এসে প্রথমে আক্রান্ত হন তৃণমূলের যুব নেতারা। প্রতিবাদে ত্রিপুরার খোয়াই থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতারা। মহামারী আইনে ত্রিপুরায় দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ ১১ জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই তৃণমূলের যুব নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। খোঁয়াই থানায় রুদ্র মূর্তি ধরেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হওয়ায় ধৃতদের তোলা হয় আদালতে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু সহ তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব থানাতেই ছিলেন। এরপর কলকাতায় ফিরতে না ফিরতেই অভিষেক সহ ৫ হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর আসে অভিষেকের ত্রিপুরা সভা ইস্যু। এনিয়েও কম জল ঘোলা হয়নি। বিজেপির বাধা দিলেও কোর্টের নির্দেশে শেষ অবধি সভা করে তৃণমূলের যুবরাজ। তবে এখনও অবধি বড়সড় ছন্দপতন ঘটে তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারকাণ্ডে। আর এবার ফের তৃণমূলের লিস্টিতে নয়া সংযোজন ফিরহাদের বিরুদ্ধে এবার মামলা দায়ের ত্রিপুরায় ।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে