তাঁদের দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও প্রশ্ন নেই। শাসনে যাবতীয় গন্ডগোলের পিছনে রয়েছে বিজেপির হাত। এমনই মন্তব্য় করলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তৃণমূলের এই নেতার দাবি,'শাসনের ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়,বিজেপি এখন ভেড়ি দখল করার জন্য কংগ্রেস,সিপিএমকে নিয়ে তৃনমূল কংগ্রেসকে বদনাম করছে।'
শনিবার রাতে উত্তাল চেহারা নেয় শাসনের নওবাদ গ্রাম। এলাকা দখল ও ভেড়ির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ব্যাপক বোমাবাজি হয় এলাকায়। দফায় দফায় চলে গুলি। অভিযোগ,পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এলে তাঁদের ওপর চড়ও হয় হামলাবাজরা। পুলিশের একটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ারও অভিযোগ উঠেছে। পরে এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। শুরু হয় বিক্ষোভ । রবিবার পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও বোমাবাজির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নিয়ে বারাসাত আদালতে তুললে বিচারক তাঁদের ৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । ধৃতরা হল সাবির আলি,হাসেম আলী,জোহর আলি।
আরও পড়ুন :ফোনে আলাপ, প্রেমিকার বাড়িতে প্রথমবার গিয়েই মরণাপন্ন যুবক
আরও পড়ুন :'ঘরের ছেলেকে বলো', তৃণমূলের পাল্টা জনসংযোগ শুরু শুভ্রাংশুর
শাসনের দুই তৃনমূল নেতা মতিয়ার সাপুই ও সফিকুল ইসলামের বিবাদ দীর্ঘদিনের। মূলত এলাকা দখল ও ভেড়ির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়েই এই গন্ডগোল। এলাকায় মতিয়ার সাপুই হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের অনুগামী হিসাবে পরিচিত। অন্য়দিকে, সফিকুলকে দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মন্ডলের কাছের লোক বলেই চেনে সবাই। সফিকুলের অনুগামী স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রাবেয়া বিবির অভিযোগ,'জেলা পরিষদ সদস্য মতিয়ার সাপুই পুরনো লোকদের বাদ দিয়ে কমিটিতে নতুনদের প্রাধান্য দিচ্ছে।এই নিয়ে রাতে তাঁর পরসঙ্গে দলের পুরনো কয়েকজনের বচসা,হাতিহাতি হয়। এরপরই,মতিয়ারের অনুগামী মশিউরের নেতৃত্বে তৃনমূল কর্মীরা গ্রামে ঢুকে ব্যাপক বোমাবাজি করে। পরে পুলিশ এলে তাঁদের ওপরও হামলা করা হয়।'
আরও পড়ুন :মহিলার দেহ লোপাট করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল মেয়ে, জামাই, চাঞ্চল্য বেহালায়
আরও পড়ুন :রেশন দোকানে সটান মন্ত্রী, অভিযোগের লিস্ট খুললেন ক্রেতা