সংক্ষিপ্ত

৫ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। ধর্মঘটে সামিল ৫০০-র বেশি ট্যাঙ্কার। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা সহ নদিয়া জেলার একাংশে এর প্রভাব পড়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন করে মৌরিগ্রাম ডিপো থেকে কোনও ট্যাঙ্কার পেট্রোলপাম্পগুলিতে যায়নি। সেই কারণেই তেলের সঙ্কট দেখা গিয়েছে এই জেলাগুলির বেশ কিছু পাম্পে। 
 

৫ অগাস্ট থেকে হাওড়ার মৌড়িগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নেমেছে ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠন। এই ধর্মঘটের জেরে ইতিমধ্যই তেলশূন্য় হয়ে পড়েছে বেশ কিছু পাম্প। ৬টি জেলায় ৫০০টি ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোল পাম্পের মধ্যে প্রায় ২৫০টি পাম্প তেলশূন্য হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কলকাতায়। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মঘট চলতে থাকলে তেলের আরও সঙ্কট দেখা দেবে বলে আশঙ্কা।   

শুক্রবার ট্যাঙ্কার মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আইওসির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ট্যাঙ্কার মালিকদের দাবিদাওয়া সংক্রান্ত সমস্যার কোনও সমাধানই হয়নি। তবে আইওসির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা ট্যাঙ্কার মালিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয় ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। তারপরেই সমস্যার সমাধান করা হবে। এর জন্য তাঁরা ট্যাঙ্কার মালিকদের কাছে সাতদিনের সময় চেয়েছেন।

"

৫ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। ধর্মঘটে সামিল ৫০০-র বেশি ট্যাঙ্কার। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা সহ নদিয়া জেলার একাংশে এর প্রভাব পড়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন করে মৌরিগ্রাম ডিপো থেকে কোনও ট্যাঙ্কার পেট্রোলপাম্পগুলিতে যায়নি। সেই কারণেই তেলের সঙ্কট দেখা গিয়েছে এই জেলাগুলির বেশ কিছু পাম্পে। 

 

ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, বুধবার ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে নতুন টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেই টেন্ডারে ট্রান্সপোর্ট রেট অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকাল ভাড়া ২৮০০ থেকে এক ধাপে কমিয়ে ২১০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ৬০টি চুক্তিবদ্ধ ট্যাঙ্কারকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে সামিল হয় তারা। দ্রুত সমস্যা না মিটলে অনেক পেট্রোল পাম্পে সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন- 'আহা রে, ছেলেগুলির কত কষ্ট হল', ত্রিপুরায় বাইকবাহিনীর ভিডিও ফাঁস করে কটাক্ষ কুণালের

আরও পড়ুন- বিশ্ব আদিবাদী দিবসে ঝাড়গ্রাম সফরে মমতা, বানভাসি এলাকাও পরিদর্শন করবেন মুখ্য়মন্ত্রী

এদিকে এই ধর্মঘটের জেরে ১৯৬টি গাড়ি সম্পূর্ণ বসে গিয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েলের পাশাপাশি সব ইউনিয়নই এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার চ্যাটার্জি বলেছিলেন, "প্রায় ৬০টি চুক্তিবদ্ধ তেলবাহী ট্যাঙ্কারকে ইতিমধ্যেই বসিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর ভাড়াও কমিয়ে দেওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। দাবি না মানলে আমাদের আন্দোলন চলবে।" পেট্রোল এবং ডিজেল ট্যাঙ্কারে না তোলার কারণে পাম্পগুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এভাবে বেশিদিন চললে খুব শীঘ্রই কলকাতা ও হাওড়ার সব পাম্পেই তেল ফুরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাম্প মালিকরা। ফলে বন্যা পরিস্থিতি ও করোনার মধ্যে এই ধর্মঘটের ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে চলেছে। তবে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত  ধর্মঘট বহাল থাকবে বলে ট্যাঙ্কার মালিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। 

 

তবে ধর্মঘট না উঠলে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়বে গণপরিবহন ব্যবস্থা। কারণ তেলের আকাল দেখা দিলে বাস থেকে শুরু করে ট্যাক্স, পুলকার, বাইক, কোনও কিছুই চলবে না। এভাবে দীর্ঘদিন চললে এই জেলাগুলিতে থমকে যেতে পারে গাড়ির চাকা। 

YouTube video player