সংক্ষিপ্ত
বন্যা পরিস্থিতির জেরে আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কান্দি মহকুমা এলাকার চাষিরা। দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। কয়েক দিনের মধ্যে জল না নামলে সদ্য মাঠে রোয়া আমন ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এনিয়ে চিন্তিত কৃষি দফতরের আধিকারিকরাও।
কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার কয়েক হেক্টর চাষের জমি। বৃষ্টির পাশাপাশি জল ছাড়া হয়েছে একাধিক ব্যারেজ থেকে। তার ফলে আরও জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামগুলিতে। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত চাষিদের।
বন্যা পরিস্থিতির জেরে আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কান্দি মহকুমা এলাকার চাষিরা। দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। কয়েক দিনের মধ্যে জল না নামলে সদ্য মাঠে রোয়া আমন ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এনিয়ে চিন্তিত কৃষি দফতরের আধিকারিকরাও।
"
কান্দি মহকুমা এলাকায় কয়েকদিন আগেই জমিতে আমন ধান বোনা হয়েছে। এদিকে বৃষ্টি ও ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে সদ্য আমন লাগানো জমিতে দুই থেকে চার ফুট পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর এই জলের ফলে মূলত কান্দি মহকুমার বড়ঞার সুন্দরপুর, কুরুননুরুন পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার আমনের জমির অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। ভরতপুর গড্ডা ও আলুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১৫টি মৌজা প্লাবিত হয়েছে। কান্দির হিজল এলাকার ১০টি মৌজা প্লাবিত হয়েছে। কয়েকদিন ধরে ওই এলাকাগুলিতে থাকা আমন ধানের জমি জলের তলায় থাকায় আমনের চারা আর বাঁচানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন চাষিরা।
আরও পড়ুন- 'আহা রে, ছেলেগুলির কত কষ্ট হল', ত্রিপুরায় বাইকবাহিনীর ভিডিও ফাঁস করে কটাক্ষ কুণালের
কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দু-তিনদিনের মধ্যে জমি থেকে জল না নামলে আমনের চারা বাঁচানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ফের নতুন করে চারা রোপণ করতে হবে। আবার চারাগাছে পলি লেগে গেলে তা বাঁচানো কঠিন। এ প্রসঙ্গে এক চাষি সামির আলি বলেন, "আমনের জমির উপর এখনও তিন ফুট জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে আমনের চারা আর বাঁচানো যাবে না। এরপর ফের চাষ করতে গেলে নতুন করে চারা পেতে সমস্যা হবে। এই চাষের উপর সারা বছর সংসার চলে। কয়েকদিন আগে রোয়া ধান নষ্ট হয়ে গেলে কী হবে জানি না।"
আরও পড়ুন- বিশ্ব আদিবাদী দিবসে ঝাড়গ্রাম সফরে মমতা, বানভাসি এলাকাও পরিদর্শন করবেন মুখ্য়মন্ত্রী
ভারী বৃষ্টির ফলে চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় এখন ক্ষতিপূরণের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাষিরা। আজ সকালেও বড়ঞা, খড়গ্রাম ও ভরতপুর ব্লকের একাধিক গ্রামে নতুন করে জল ঢোকে। তবে জল ঢুকলেও দু-একটি ছাড়া সব গ্রামের রাস্তা থেকেই পরে জল নেমে যায়। ভরতপুরের কৃষি অধিকর্তা শাহানুর রহমান বলেন, "এলাকার ২০টি মৌজার আমন চাষ বৃষ্টি ও বন্যার জলে ডুবে রয়েছে। এদিন কিছুটা জল কমলেও বেশিরভাগ এলাকার জমি এখনও জলের নিচে রয়েছে। ফলে দ্রুত জমি থেকে জল না নামলে আমনের চারা বাঁচানো সম্ভব নয়। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি।"