বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের প্রচারে পা মিলিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল সেনা। প্রচারের শেষ দিনে কুন্ডুঘাট মাঠে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। বলেন, "এবার আর জেতার পর সবুজ আবির মাখবে না কর্মীরা। আমি নির্দেশ দিয়েছি সবুজ আবির মেখেই তারা কাউন্টিংয়ে যাবে।"
পুরনিগম (West Bengal Municipal Election) নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যে। ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চারটি পুরনিগমে ভোট হবে। সেই তালিকায় রয়েছে চন্দননগর (Chandannagar Municipal Corporation Election 2022), বিধাননগর, শিলিগুড়ি ও আসানসোল পুরনিগম। আর ভোট নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেই প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে রয়েছে। এতদিন প্রচারে কোনও খামতি রাখেনি তৃণমূল (TMC) থেকে শুরু করে সব বিরোধী দলগুলিই। তবে চন্দননগর পুরবোর্ড দখলের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী তৃণমূল। এতটাই আশাবাদী যে রাজ্যের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen) প্রার্থীদের কাউন্সিলর প্যাড ছাপানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে ৩৩টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল জিতবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের প্রচারে পা মিলিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল সেনা। প্রচারের শেষ দিনে কুন্ডুঘাট মাঠে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Animesh Banerjee) সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। বলেন, "এবার আর জেতার পর সবুজ আবির মাখবে না কর্মীরা। আমি নির্দেশ দিয়েছি সবুজ আবির মেখেই তারা কাউন্টিংয়ে যাবে।"
আরও পড়ুন- 'চক্রান্ত' করে চিকিৎসককে পাঠানো হচ্ছে সেফহোমে, বিএমওএইচ-কে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
তিনি আরও বলেন, "চন্দননগরে পুরবোর্ড গড়া নিয়ে চিন্তিত নই একদম। বোর্ড আমরাই গড়ব। ৩৩টি ওয়ার্ডেই আমাদের প্রার্থীরা জিতবেন। সমস্ত মানুষ, সদ্যোজাত শিশুও জানে কারা জিতবে। ১৪ তারিখ গণনার দিন পরে নয়, গণনাকেন্দ্রে সবুজ আবির মেখেই যাবেন কর্মীরা।"
চন্দননগরে মোট ৩৩ টা ওয়ার্ডের মধ্যে ১ জন বিজেপি প্রার্থী মারা যাওয়ায় ৩২ টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। জেতার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ইন্দ্রনীল। তিনি আরও বলেন, "অতীতে দেখা গিয়েছে ভোটে জেতার পর কাউন্সিলরদের সার্টিফিকেট ছাপাতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যায়। তাতে পরিষেবা ব্যাহত হয়। তাই আমি অনুরোধ করছি আজকের মধ্যে যেন প্রত্যেক প্রার্থী তাঁদের প্যাড ছাপিয়ে নেন। যাতে ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই পরিষেবা দেওয়া যায় নাগরিকদের।"
এরপর সিপিএমকে নিশানা করে ইন্দ্রনীল বলেন, "চন্দননগরে সব হাফবয়েল নেতা-নেত্রীরা আসছে। বার বার যাঁরা হারছেন তাঁরাই আসছেন। ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিরোধীরা বিধানসভায় এখানকার বিখ্যাত মৃত্যুঞ্জয় মোদক, পঞ্চাননের বড় রসগোল্লা পেয়েছে। এখন আবার চার আনার নকুলদানাদের নিয়ে আসছে। চার আনার নকুলদানা তার আবার রসিদ। তাঁদের নিয়ে আবার আমাকে কথা বলতে হবে!।"
আরও পড়ুন- 'দুয়ারে জলাশয়', মালদহে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়ে কটাক্ষ বিজেপির
উল্লেখ্য, পুরনির্বাচনে ২০১৫ সালে ২১টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। এই পুরসভা স্থাপিত হয়েছিল ১৯৫৫ সালে। তার আগে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত চন্দননগর ফরাসি ভারতের অধীনে ছিল। ১৯৫৫ সালে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এই জনপদ। ১৯৯৪ সালে পৌরনিগম আইন অনুযায়ী চন্দননগর পৌরসংস্থায় পরিণত হয়।