সংক্ষিপ্ত

গত ৫ বছরে কেমন কাজ করেছে বিগত চন্দননগর পুর কর্পোরেশন বোর্ড (Chandannagar Municipal Corporation Election 2022)। সেই নিয়ে একটা অনুসন্ধান চালিয়েছে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। কথা বলা হয়েছে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে যারা এই পুর কর্পোরেশনের অধীনে বসবাস করেন (The Performance Of Chandannagar Municipal Corporation)। 
 

কলকাতার উপকন্ঠেই এক ফরাসী উপনিবেশের পীঠস্থান ছিল এই চন্দননগর (Chandannagar Municipal Corporation 2022)। ফরাসী (French Colony Chandannagar) তাঁদের শিল্পকলা এবং স্থাপত্যে সাজিয়ে তুলেছিল চনন্দনগরকে। এই এলাকাকে একটি অত্যাধুনিক শহরে পরিণত করা থেকে একে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরার পিছনে ফরাসীদের (Frech Rule In India) অবদান অস্বীকার করা যায় না। আজও ফরাসী সরকার চন্দননগরের সাংস্কৃতিক বিকাশ থেকে শুরু করে নানা ধরনের সামাজিক প্রকল্পে সহায়তা করে থাকে। চন্দননগর পুরসভার জন্ম ১৯৫৫ সালে। পুর কর্পোরেশন হিসাবে এর আত্মপ্রকাশ ১৯৯৪ সালে। ২০১৫ সালে শেষবার ভোট হয়েছিল এই পুর কর্পোরেশনের। এরপর ২০২২ সালের এই ভোট। বিগত ৫ বছরে পুরসভার পারফরম্যান্স কেমন? কি বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা? সেই অনুসন্ধানে বের হয়েছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা (Asianet News Bangla)।  

কথা হচ্ছিল প্রাক্তন পুলিশ কর্তা অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যাঁর বাড়ি চন্দননগরের বড়বাজার (Chandannagar Budabazar) এলাকায়। প্রাক্তন পুলিশকর্তার মতে বিগত পুর বোর্ডে জল নিকাশি ব্যবস্থায় যে কাজ করেছে তাতে তাদের ১০-এর মধ্যে পাঁচ নম্বর দেওয়া যায়। পানীয় জলের ক্ষেত্রে ১০-এর মধ্যে ৬ নম্বর দিয়েছেন অরুণাভ। রাস্তাঘাটের উন্নয়নে বিগত পুরবোর্ডকে ১০-এর মধ্যে ৭ নম্বর দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও এশিয়ানেট নিউজ বাংলার এই অনুসন্ধানে আরও দুটো বিষয় ছিল। আর সেগুলি হল শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং কোভিড অতিমারিতে পদক্ষেপ। এই দুই ক্ষেত্রে অরুণাভ মুখোপাধ্যায় যথাক্রমে ৫ এবং ৮ নম্বর দিয়েছেন। সবমিলিয়ে দেখা যাচ্ছে অরুণাভবাবু বিগত পুরবোর্ডের কাজের মূল্যায়ণে মোট ৫০ নম্বরের মধ্যে ৩১ নম্বর দিয়েছেন।  

এশিয়ানেট নিউজ বাংলার মুখোমুখি হয়েছিলেন বীমা কর্মী খুশরু প্যাটেল। তিনিও আলাপচারিতায় চন্দননগর পুর কর্পোরেশনের (Chandannagar Municipal Corporation 2022) কাজ নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন এবং বিগত পুরবোর্ডের কাজের মূল্যায়ণ করেছেন। খুশরু প্যাটেলের মতে জল নিকাশি ব্যবস্থায় বিগত পুরবোর্ডকে ১০-এর মধ্যে সর্বাধিক ৮ নম্বর দেওয়া যেতে পারে। পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে তিনি বিগত পুরবোর্ডকে ৯ নম্বর দিয়েছেন। রাস্তাঘাট-এর উন্নয়ন-এর জন্য ১০-এর মধ্যে ৪ নম্বর দিয়েছেন খুশরু। শহরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় বিগত পুরবোর্ডকে ৪ নম্বর দিয়েছেন। তবে কোভিড অতিমারিতে পুর কর্পোরেশনের পদক্ষেপ নিয়ে খুব একটা খুশি ব্যক্ত করেননি তিনি। এই বিভাগে বিগত পুরবোর্ডকে ১০-এর মধ্যে ৪ নম্বর দিয়েছেন খুশরু। সবমিলিয়ে তিনি ৫০-এর মধ্যে বিগত পুরবোর্ডকে ২৯ নম্বর দিয়েছেন।  

চন্দননগর পুর কর্পোরেশনের এলাকার আয়তন ২২.০৩ কিলোমিটার। ২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী এই পুর কর্পোরেশনের অধীনে জনসংখ্যা রয়েছে  ২ লক্ষেরও বেশি। এই এলাকায় কর্মসংস্থানের যে হারটা পাওয়া যায় তাতে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ কর্মজীবী। বাকি ৬০ শতাংশ কোনও কাজ করেন না। যত সংখ্যক মানুষ এখানে কর্মজীবী তারমধ্যে আবার ৫০ শতাংশই শিল্পাঞ্চলের কর্মী। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত চন্দননগরে ফরাসী শাসন কায়েম ছিল। এরপর ভারত সরকারেরর হাতে চন্দনগরকে সঁপে দেয় ফরাসী সরকার। ১৯৫৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তভুর্ক্ত হয় চন্দননগর (Chandannagar Municipal Corporation 2022)।