
নির্বাচনের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার, উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের ঋণ দেওয়ার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল। চলতি মাস থেকে চালু হয়েছে সেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প। তৃণমূল সরকার এই প্রকল্পকে যুগান্তকারী বলে দাবি করলেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন এই রাজ্য সরকারি প্রকল্পকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে এই প্রকল্পের অসুবিধার বিষয়টি তুলে ধরলেন তিনি।
এদিন, ওই ব্যঙ্গচিত্রটি টুইট করে সঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভাপতি লেখেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড এবং সরকারি চাকরি। কী রয়েছে ব্যঙ্গচিত্রটিতে? প্রথমে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন এক শিক্ষার্থী পশ্চিমবঙ্গ সরকারে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকার ঋণ গ্রহণ করছে, পাশ করে বেরিয়ে চাকরি করার আশায়।
পাশ করে বের হওয়ার পর অবশ্য তার সেই স্বপ্ন, সেই আশা ভঙ্গ হয়। সে দেখে, পশ্চিমবঙ্গে সে কোনও চাকরিই পাচ্ছে না। লেখা নো ভ্যাকেন্সি। আর পাশে তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে একজন বলছে '১০ লাখ ছাড় চাকরি হয়ে যাবে'। সেই সময়, স্টুডেন্ট ক্রেডিটট কার্ডের ঋণএবং তার সুদের বোঝায় সে চাপা পড়েছে। অর্থাৎ, ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে দিলীপ ঘোষ বোঝাতে চেয়েছেন, রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প আসলে শিক্ষার্থীদের বোঝা।
আরও পড়ুন - আজ থেকেই রাজ্যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের রেজিস্ট্রেশন, জানুন আবেদনের সহজ পদ্ধতি
আরও পড়ুন - 'স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড' পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশে-বিদেশে এই সুবিধা আছে কি, রইল হদিস
আরও পড়ুন - 'নির্বাচনে অনেক ভুয়ো অফিসার ছিল', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
তবে দিলীপ ঘোষ যাই বলুন, একেবারে শুরু থেকেই কিন্তু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প রাজ্যে ভাল সাড়া ফেলেছে। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছিল, প্রথম পাঁচ দিনেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য জমা প্রায় ১০ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে যে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, তার গ্যারেন্টার থাকছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে সব মিলিয়ে ঋণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আবেদনকারীদের আপলোড করা মার্কশিট,সার্টিফিকেট স্ক্রুটিনি করে দেখে সেগুলো ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেবে শিক্ষা দফতর। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোর্স করার জন্য আবেদন করছেন পড়ুয়ারা, সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হবে। তারপর ব্যাঙ্ক থেকে সরাসরি সেই টাকা পৌঁছে যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্য়াকাউন্টে অথবা সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে।