তৃণমূলের পর এবার ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়াল বিজেপির। নাবালিকা ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গাইঘাটায় বিজেপি নেত্রী-সহ গ্রেফতার ৪ জন।
তৃণমূলের পর এবার ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়াল বিজেপির। নাবালিকা ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গাইঘাটায় বিজেপি নেত্রী-সহ গ্রেফতার ৪ জন। ধর্ষণকারীর হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য চেয়েছিল বছর পনেরোর নাবালিকা। অভিযোগ, কেউ এগিয়ে আসেনি। উপরন্তু, এক যুবক ওই নাবালিকার মুখে জোর করে জামা গুঁজে দেয়। এরপরেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। নৃশংস এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা নাথার ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ধর্ষণ এবং ধর্ষণে সহযোগিতা করার অপরাধে বিজেপি নেত্রী-সহ গ্রেফতার ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই প্রতিবেশী মেয়েটিকে নিজের বাড়ি নিয়ে যায়, সন্দেহ হয় বাবার
বৃহস্পতিবার বাড়ির সামনে আপন মনে খেলছিল ওই নাবালিকা। তখন এক প্রতিবেশি যুবক নতুন ক্যামেরা কিনেছে বলে তাঁকে জানায়। সেই ক্যামেরা দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ওই প্রতিবেশী মেয়েটিকে নিজের বাড়ি নিয়ে যায়। এরপরেই নিজের বাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে খোঁজাকুজি করে না পেয়ে প্রতিবেশি মহিলার বাড়িতে যান। নাবালিকার বাব দেখেন, ওই মহিলা এবং তার ছেলে ঘরে বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপরেই সন্দেহ হয় বাবার। জোর করে দরজা ধাক্কা নিয়ে ঘরে ঢোকেন নির্যাতিতার বাবা। এরপরেই চোখের সামনেই দেখেন তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। পাশে দাঁড়িয়ে আরও এক যুবক। বাবাকে দেখতে পেয়েই মেয়েটি ছুটে আসে। বাবাকে জানায় চিৎকার করলেও কেউ তাঁকে সাহায্য করতে আসেনি।
আরও পড়ুন, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে অসংখ্যবার ধর্ষণ, শিউরে উঠেছে কোন্নগরবাসী, ধৃত ৪
ওই মহিলা বিজেপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত, ধৃতরা মহিলার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল
এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সকলেই ওই স্থান ছেড়ে পালিয়ে যায়।খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই এলাকা থেকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণে সহযোগিতা করার অপরাধে বিজেপি নেত্রী-সহ গ্রেফতার ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার স্বামী কেরলে কাজ করেন। সেখানেই কাজ করে ওই যুবক। তারা নদিয়ার নবদ্বীপের বাসিন্দা। সেই সূত্রেই ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয়।তারা মহিলার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। অভিযুক্ত ওই মহিলা বিজেপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছে।
আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য
'ওই মহিলা উত্তরপ্রদেশের সংষ্কৃতি এখানে আনতে চাইছেন'- তৃণমূল সভাপতি
গাইঘাটা পশ্চিম ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব দাস বলেন, 'ওই মহিলা উত্তরপ্রদেশের সংষ্কৃতি এখানে আনতে চাইছেন। এই ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবো।' প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষকরা পুলিশের জালে ধরা পড়ছেন ঠিকই, তবে ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গে। মার্চের শেষে সেই মাটিয়াকাণ্ডের পর হাঁসখালি, শান্তিনিকেতন, ময়নাগুড়ি, মেদিনীপুর, বীরভূমের কীর্ণাহারে, হুগলির কোন্ননগরে একের পর এক হিংস্রভাবে ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। যার ফলে তীব্র আতঙ্কে রয়েছে রাজ্যবাসী। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।