১০ দিন আগেই মেয়ের মৃত্যু হয়। তারপর মেয়ের মৃত্যুর জন্য শ্বশুর মাহতাব আলি, শাশুড়ি উজলেফা বিবি ও দেওর তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান মা তাজকেরা খাতুন।
মেয়ের আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি মা। প্রথম থেকেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল তাঁর মনে। তাই সেই সন্দেহকে আরও উসকে দেন পরিবারের সদস্যরা। এরপরই মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কবর থেকে তোলা হল মেয়ের মৃতদেহ। কিশোরীর মৃত্যুতে শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা। সেই ঘটনার তদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয় দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মিলনগড় কোচপুকুর এলাকায়।
১০ দিন আগেই মেয়ের মৃত্যু হয়। তারপর মেয়ের মৃত্যুর জন্য শ্বশুর মাহতাব আলি, শাশুড়ি উজলেফা বিবি ও দেওর তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান মা তাজকেরা খাতুন। তাঁর অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই পরিবারের সদস্যরাই তাঁর মেয়েকে খুন করেছে। এরপর তাজকেরার অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার লোকাল ম্যাজিস্ট্রেট ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসির উপস্থিতিতে ওই নাবালিকার মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়। এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। তাজকেরার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- টাকার বিনিময় দিতেন নাবালিকার বিয়ে, পুলিশের জালে ভুয়ো ম্যারেজ রেজিস্টার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ডলি খাতুন। ১০ সেপ্টেম্বর তার মা তাজকেরা ও বাবা সাহাবুদ্দিন শেখ মাঠে গিয়েছিলেন। সে সময় বাড়িতে একা ছিল ডলি। ঘণ্টাখানেক বাদে তাজকেরা ও সাহাবুদ্দিনকে ফোন করে জানানো হয় যে ডলির মৃত্যু হয়েছে। তাজকেরা জানিয়েছেন, যখন তাঁরা বাড়ি থেকে মাঠে গিয়েছিলেন তখন মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ ছিল। বাড়িতে ফিরে দেখেন মেয়ে খাটের উপর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয় ডলি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। তারপরই তড়িঘড়ি ডলিকে কবর দেওয়া হয়। কিন্তু, মেয়ের মৃত্যু নিয়ে তাজেকেরার সন্দেহ হতে শুরু করে। অভিযোগ, পরিবারের হুমকিতে এতদিন মুখ বন্ধ করে ছিলেন তিনি। এদিকে শুক্রবার ডলির মতো তাঁকে ও তাঁর ছোট মেয়েকেও খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে তলব দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের, ৩০ সেপ্টেম্বর হাজিরার নির্দেশ
আরও পড়ুন- আইকোর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার মানস ভুঁইয়াকে তলব সিবিআইয়ের, সোমবার হাজিরার নির্দেশ
তাজকেরা বলেন, "ওরা আমাকে ও ছোট মেয়েকেও খুন করার কথা বলে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় যে ডলিকে ওরাই খুন করেছে। আমি নিজেও নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।"