সংক্ষিপ্ত

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় বেশ কিছু ভুয়ো ম্যারেজ রেজিস্টার অফিস খুলে বসেছেন। এদের ফাঁদে পা দিয়ে বহু মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। আনারুল হক তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

ভুয়োদের ছড়াছড়ি রাজ্যে। ভুয়ো আইপিএস থেকে শুরু করে আইএএস, এসডিপিও, চিকিৎসক, পরীক্ষার্থী সহ পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অনেকেই। আর এবার পুলিশের জালে ধরা পরল ভুয়ো ম্যারেজ রেজিস্টার। ধৃতের নাম আনারুল হক। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী বড়ুয়া মোড় এলাকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় বেশ কিছু ভুয়ো ম্যারেজ রেজিস্টার অফিস খুলে বসেছেন। এদের ফাঁদে পা দিয়ে বহু মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। আনারুল হক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ম্যারেজ রেজিস্টার সেজে এলাকায় বেশ পসরা জমিয়ে বসেছিলেন তিনি। বেশ নামডাকও হয়েছিল তাঁর। একাধিক বিয়েও দিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে তলব দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের, ৩০ সেপ্টেম্বর হাজিরার নির্দেশ

বিশেষ সূত্র থেকে খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, পার্শ্ববর্তী রেজিনগর এলাকাতেও জাল ম্যারেজ রেজিস্টার হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলেন আনারুল। বেশ কিছুদিন জেল খাটার পর মুক্তি পান। এরপর পুনরায় তিনি ওই কারবার শুরু করেন বরুয়া মোড় এলাকায়। অভিযোগ, নিজেকে জুডিশিয়াল হোম ডিপার্টমেন্টের কর্মী হিসেবে দাবি করে ম্যারেজ রেজিস্ট্রির কাজ করছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন- আইকোর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার মানস ভুঁইয়াকে তলব সিবিআইয়ের, সোমবার হাজিরার নির্দেশ

আরও পড়ুন- হাসপাতালে প্রবেশের পরই পা ছুঁয়ে প্রণাম স্বাস্থ্যকর্মীর, শুভেন্দুর বসার জন্য নিজের চেয়ার ছাড়লেন ডেপুটি সুপার

এ বিষয়ে এলাকার এক বৈধ ম্যারেজ রেজিস্টার জানান, "ওই ব্যক্তি এইভাবে মানুষকে বহুদিন ধরে বিপুল টাকার বিনিময়ে প্রতারিত করছিলেন। টাকার বিনিময়ে নাবালিকাদেরও বিয়ে দিচ্ছিলেন।" ঘটনার পরই আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন জাল নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতে তোলা হবে আনারুলকে। 

YouTube video player