শিশুর মা এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, রোশনকে অবৈধ সন্তান বলে সন্দেহ করত দাদু নরেশ দাস ও ঠাকুমা পানাবতী দাস। আর সেই কারণে রোশনের উপর অত্যাচার চালাত তারা।
পান্তা ভাতে বিষ মিশিয়ে সাড়ে তিন বছরের নাতিকে খুনের অভিযোগ উঠল দাদু-ঠাকুমার বিরুদ্ধে। মৃতের নাম রোশন দাস। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব হরসুরা বিন্যাকুড়ি মেহেরা পাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় দাদু-ঠাকুমাকে আটক করেছে তপন থানার পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- প্লাবিত মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা, জলের তোড়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তৃণমূল কার্যালয়
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাবার নাম কৈলাস দাস এবং মা দেবকী দাস। বাবা পেশায় কৃষক। শিশুর মা এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, রোশনকে অবৈধ সন্তান বলে সন্দেহ করত দাদু নরেশ দাস ও ঠাকুরমা পানাবতী দাস। আর সেই কারণে রোশনের উপর অত্যাচার চালাত তারা। দিন দিন অত্যাচার বেড়েই চলছিল। অবশেষে আজ সকালে পান্তা ভাতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাকে খাইয়ে দেয়। তারপরই অসুস্থ হয়ে রোশনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন- শিলিগুড়ির বাস টার্মিনাসে বোমাতঙ্ক, পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে উদ্ধার প্রেসার কুকার-কাপড়
ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছায় তপন থানার অন্তর্গত রামপুর ফাঁড়ির পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই গা ঢাকা দিয়েছিল নরেশ দাস। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে খুঁজে বের করে মারধর করেন। তারপরই তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। রোশনের দাদু, ঠাকুমা ও কাকাকেও আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- মাত্র ১ নম্বরের জন্য পিছিয়ে অর্চিষ্মান, জানুন CBSE টপারের স্বপ্ন কী
এবিষয়ে কৈলাস দাস বলেন, "সকালে মাঠে কাজ করতে গেছিলাম। সেই সময় খবর পাই ছেলে অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে এসে দেখি ছেলে মারা গিয়েছে। কি করে কি হল কিছুই বুঝতে পারছি না।" প্রতিবেশী রতন মেহেরা বলেন, "গতকাল রাতেই রোশনের দাদু বলছিল বিষ নিয়ে এসে তাকে খুন করবে। গতকালের ওই কথার পরই আজ শিশুটি মারা যায়। আমাদের অনুমান ওই শিশুকে তার দাদুই খুন করেছে।" অন্যদিকে তপন থানার তরফে জানানো হয়েছে, এনিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ তারা পায়নি। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।