বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে। সিসিটিভি নিয়েও স্পষ্ট বার্তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য। আঁচ পড়তে শুরু করেছে দেশেও। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে ইউজিসি রিপোর্ট নোটিশ পাঠিয়েছে। এই অবস্থায় টনক নড়ল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। কারণ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে তিনি জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি লাগানো নিয়ে বা সিসিটিভির নজরদারি কার হাতে থাকবে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকাঃ
১. রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
২.কেউ যদি পরিচয়পত্রি দেখানে না পারে তাহলে নির্দিষ্ট আর যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে হবে।
৩.পরিচয়পত্র না থাকলে যার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার নাম ও ফোন নম্বর লিখে যেতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া কোনও গাড়ি, মোটরবাইক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫.স্টিকারবিহীন গাড়ির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বরের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে জমা দিতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাদক নেওয়া বা মদ্যপান বরদাস্ত করা হবে না।
৭.বেআইনি কার্যকলাপের সময় ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেোয়া হবে।
আজ বিকেলে দিলীপের দিল্লি যাত্রা, অমিত শাহের বাসভবনে বৈঠক বিজেপি নেতার
সিসিটিভি বসানো নিয়ে বার্তা-
বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিসিটিভি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল। তবে হোস্টেল আর বিস্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিতে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর ক্ষেত্রে পরিকাঠামোতে কিছু বদল করা হতে পারে।
অন্যদিকে স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্ত়ৃপক্ষ তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। পাল্টা মেল করে ইউজিসি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্যে তারা সন্তুষ্ট নয়।
দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে সূচনা বিন্ধ্যগিরি, অত্যাধুনিক এই রণতরীর ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রইল
নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। হোস্টেলে আসার দিন রাতে মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের নিচে ছিলেন। ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তখনই দেখতে পান স্বপ্নদীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেখানে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হয়। তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। পরের দিন সকালে স্বপ্নদীপের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। ব়্যাগিংএর কারণে স্বপ্নদীপকে হত্যা করা হয়েছে বলেও মনে করেছে তদন্তকারীরা। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০জনেরও বেশি আটক করা হয়েছে। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বা প্রাক্তন ছাত্র। তবে প্রাক্তন ছাত্ররা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।