কলকাতা হাইকোর্টে দুর্গাপুজোর অনুদান মামলা চলছে। সেখানেই রাজ্যের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট। যে সব পুজো কমিটি দুর্গাপুজোর খরচের হিসেব দেয়নি তাদের অনুদান দেওয়া নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী? সোমবার মামলার শুনানিতে তা স্পষ্ট করে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টে দুর্গাপুজোর অনুদান মামলা চলছে। সেখানেই রাজ্যের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট। যে সব পুজো কমিটি দুর্গাপুজোর খরচের হিসেব দেয়নি তাদের অনুদান দেওয়া নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী? সোমবার মামলার শুনানিতে তা স্পষ্ট করে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বুধবারের মধ্যেই রাজ্যকে এই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
25
মামলার শুনানি
দুর্গা পুজোর অনুদান মানসা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল ও স্মিতা দাস দে-র ডিভিসন বেঞ্চে। আদালতের পর্যবেক্ষণ এর আগে সরকারি অনুদান নিয়ে কোথায় কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কতগুলি পুজো কমিটি এই সার্টিফিকেট জমা দেয়নি? জমা না দেওয়া সত্ত্বেও অনুদান দেওয়া হচ্ছে কী? সোমবার এই প্রশ্ন করেছে আদালত। একই সঙ্গে বুধবারের মধ্যে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে কোর্ট। পরবর্তী শুনানি বুধবার।
35
রাজ্যকে বার্তা
এদিন আদালতে শুনানিতে রাজ্যের অ্য়াডভোকেড জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করেছিলেন যে ২০২৩ সালে মার্চ মাসে আদালতকে জানান হয়েছিল ৫০০টি পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হয়েছিল ৩৬টি কমিটি হিসেবে খরচ দিয়েছিল। পাল্টা শীর্ষ আদালত বলেছে, 'আমরা কোনও সংখ্যায় যেতে চাইছি না। গত বছর পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মেনে যেসব পুজো কমিটি শংসাপত্র জমা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে? তাদেরও কি অনুদান দেওয়া হবে?' বুধবারের মধ্যে রাজ্যকে গোটা বিষয়টা জানাতে হবে বলেও জানিয়েছে কোর্ট।
দুর্গাপুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সৌরভ দত্ত। সরকারি অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং শামিম আহমেদের সওয়াল, উপযুক্ত জায়গায় খরচ না করে জনগণের টাকা পুজো কমিটিগুলিকে বিলিয়ে দিচ্ছে সরকার।
55
রাজ্যের বক্তব্য
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য সরকার বলেছে ওই টাকা জনগণের স্বার্থেই ব্যবহার করার জন্য দেওয়া হচ্ছে। তাদের যুক্তি, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পুলিশ ওই টাকা খরচ করছে। এ ছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধের জন্য খরচ করা হয়েছিল।