
ট্যাংরায় ২ মহিলা ও এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ও ধোঁয়াশা যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। জানা গেছে, ব্যবসার জন্য একাধিক এজেন্সি থেকে কোটি কোটি টাকা লোন । আর এই লোন নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত দুই ভাই প্রসূন দে ও প্রণয় দে। ব্যবসায় আসলে যতটা টার্ন ওভার ছিল তার থেকে বেশি পরিমান টার্ন ওভার দেখিয়ে নাকি তারা একাধিক জায়গা থেকে লোন করছিল। বাজারে তাদের লোনের পরিমান নাকি ১৫ থেকে ২০ কোটির কাছাকাছি। ট্যাংরা কাণ্ডের রহস্যের জট যেন আরও পাকিয়ে যাচ্ছে, মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিপুল করের বোঝা স্বত্তেও তাদের এই বিলাসবহুল জীবনযাপন কেন? ঘটনার নেপথ্যের কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে পড়ছে একের পর এক ঘটনার কথা। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, বেশিরভাগ আত্মহত্যা বা খুনের ঘটনার নেপথ্যে থাকে আর্থিক লেনদেনের মতো বিষয়।
তবে ট্যাংরা কাণ্ডে রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে অন্যতম কারণও কি বিপুল অংকের দেনা? রহস্য উন্মোচনে গিয়ে সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাজারে থেকে প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকার কাছাকাছি করের বোঝায় জর্জরিত ট্যাংরার দে পরিবারের দুই ভাই। এমনটাও নাকি হয়েছিল, প্রণয় ও প্রসূন বাড়িতে পাওনাদারদেরও টাকা নিতে আসতে বলেছিলেন ঘটনার দিন । অন্তত ছয়টি ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে সেই দেনা মেটাতেই ল্যাজে গোবরে পরিস্থিতি ছিল তাদের। তবে কি সেই পাওনা টাকা দিতে না পারার কারণে কোন ছক কষেছিলেন ঋণগ্রস্থ এই দুই ভাই?
পাওনাদারদের সূত্রে যে খবর মিলেছে, বেলাগাম জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে দে পরিবারের দুই ভাই। ব্যবসায় ক্ষতি, দেনার পরিমান বৃদ্ধিতেও থামে নি তাদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের পরিধি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দেনার বোঝা নিয়েও দুবছর অন্তর গাড়ি বদলে ফেলত। সঙ্গে সময় কাটাতে বিদেশভ্রমণ শুরু করে এই পরিবার। ব্যবসায় লাভের অঙ্কের থেকে বাড়তে থাকে খরচের পরিমান। একসময় ঋণ নিতে নিতে গলা পর্যন্ত দেনায় ডুবে যায় তার। আর এই দেনার বেড়াজালে আটকে পার পেতেই কি কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিল এই দুইভাই? কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।