টিকিট কাটুন ফাঁকায় ঠাকুর দেখুন, কলকাতার দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে ঢুকতে খচর করতে টাকা

Published : Aug 01, 2025, 05:15 PM IST

বর্তমানে মহালয়ার পূর্বেই অর্থাৎ দেবী পক্ষ পড়ার পূর্বেই অনেক মণ্ডর খুলে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের জন্য। ফাঁকায় ফাঁকায় যেতে ঠাকুর দেখা যায় তাই এই ব্যবস্থা।

PREV
15
দুর্গাপুজোর দোর গোড়ায়

দুর্গাপুজো দোর গোড়ায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবপিছু ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছেন। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই পুজোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কলকাতার দুর্গাপুজো মানেই রাজধানীর রাজপথে জনজোয়ার। ৮ থেকে ৮০ প্রায় সকলেই বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। এই অবস্থায় ভিড় এড়াতে অনেকেই মহালয়ার পূর্বেই প্রতিমা দর্শন সেরে ফেলেন। কিন্তু এবার তারই জন্য গুণতে হতে পারে গ্যাঁটের কড়ি।

25
দুর্গাপুজোর টিকিট

বর্তমানে মহালয়ার পূর্বেই অর্থাৎ দেবী পক্ষ পড়ার পূর্বেই অনেক মণ্ডর খুলে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের জন্য। ফাঁকায় ফাঁকায় যেতে ঠাকুর দেখা যায় তাই এই ব্যবস্থা। কিন্তু এবার ভিড়ে না বেরিয়েও ঠাকুর দেখতে গেলে খরচ করতে হবে টাকা। দুর্গা পুজোর টিকিট সিস্টেম চালু করেছে একাধিক পুজো উদ্যোক্তারা। মহালয়ার পূর্বেই ঠাকুর দেখতে গেলে কাটতে হবে টিকিট। কলকাতার তিনটি পুজো মণ্ডপ এই উদ্যোগ নিয়েছে।

35
টিকিট কাটুন ঠাকুর দেখুন

বালিগঞ্জ কালচারাল, দমদম পার্ক ভারতচক্র ও কেন্দুয়া শান্তি সংঘ- এই তিনটি পুজো মণ্ডলে মহালয়ার া আগে ঠাকুর দেখার জন্য গুণতে হবে গ্যাঁটের কড়ি। তিনটি পুজোরই শিল্পি সুশান্ত শিবাণী পাল। কখন গেলে ফাঁকা থাকবে মণ্ডপ তারও উল্লেখ থাকবে টিকিটে। সময় বেঁধে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের জন্য। অর্থাৎ এই বছর থেকেই কলকাতায় টিকিট কেটে ঠাকুর দেখার চল শুরু হল বলা যেতেই পারে। কিন্তু এই নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক বিতর্ক।

45
টিকিটের দাম

 আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া। তার া আগে অর্থাৎ ১৯.২০. ২১ সেপ্টেম্বর টিকিট কেটে ঠাকুর দেখার জন্য মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবে দর্শনার্থীরা। সন্ধ্যে ৬টা থেকে ভোর ৩টে পর্যন্ত ঠাকুর দেখাযাবে। ১ জনের টিকিটের দাম ১০০ টাকা। ২ জনের জন্য খরচ ১৫০। ৩ জনের ২০০ ও ৪ জনের টিকিটের দাম ৩০০ টাকা। অনলাইনে কাটা যাবে টিকিট।।

55
টিকিট বিতর্ক

টিকিট বিতর্ক

অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বিদেশেও কোনও ফেস্টিভ্যালে প্রবেশ করতে গেলে টিকিট কাটার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে বাংলার দুর্গা পুজোয় নয় কেন! শিল্পী সুশান্ত শিবানী পাল আশ্বস্ত করে বলছেন, বাংলার পুজো সর্বজনীনই থাকছে। মহালয়ার পর সবাই এমনিই ঠাকুর দেখতে পারবেন। এই ব্যবস্থার বিরোধী মতও রয়েছে। শহরের আর এক পুজোর উদ্যোক্তা সজল ঘোষ বলেন, “পুজোর বারোয়ারি এতে এসেন্স নষ্ট হয়ে যাবে।” একটা বিভেদ চলে আসবে বলেও মনে করছেন তিনি।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories