Howrah-Sealdah Metro: কবে চালু হচ্ছে এয়ারপোর্ট থেকে এসপ্ল্যানেড, হাওড়া মেট্রো? ঘোষণা করা হল তারিখ!

দীর্ঘ অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা। হাওড়া-শিয়ালদহ রুটের মধ্যে মেট্রো চলাচলের জন্য। এছাড়াও তাঁরা অপেক্ষা করছেন এয়ারপোর্ট-এসপ্ল্যানেড রুটের চালু হওয়ার জন্য। এবার সুখবর নিয়ে এল মেট্রো রেল।

কলকাতা মেট্রো যাত্রীদের জন্য রইল বিরাট সুখবর।

বিশেষ করে আপনিও যদি দীর্ঘদিন ধরে এয়ারপোর্ট মেট্রো কবে চালু হবে সেই নিয়ে দিন গুনছিলেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।

কবে এয়ারপোর্ট অবধি মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে এবার সেটা নিয়ে সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানা গেল। কবে চালু হচ্ছে?

কবে চালু হচ্ছে এয়ারপোর্ট অবধি মেট্রো পরিষেবা?

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের জুলাই মাসেই হয়তো বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে শুরু হতে পারে মেট্রো পরিষেবা।

জানা গিয়েছে, রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশনার ( সিআরএস) এপ্রিল মাসে ৭ কিলোমিটার নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর যা জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন পরিদর্শন করবেন।

মেট্রোর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিদর্শন রিপোর্টের উপর নির্ভর করে, জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে লাইনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে।

মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর

বিমানবন্দর থেকে ১৩ মিটার নীচে অবস্থিত হাব স্টেশন এবং স্ট্যাবলিং ইয়ার্ডটি এশিয়ার বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি ইয়েলো লাইনের প্রথম ধাপ বা ১৮ কিলোমিটার নোয়াপাড়া-বারাসাত করিডোরের অংশ।

প্রাথমিকভাবে, মেট্রো রেলওয়ে ৩ কিলোমিটার নোয়াপাড়া-দম দম ক্যান্টনমেন্ট অংশটিকে প্রথম ধাপ হিসেবে পরিকল্পনা করেছিল, যা সিআরএস অনুমোদন পেয়েছে।

প্রথম ধাপটি আরও ৪ কিলোমিটার বাড়ানো হয়েছিল যাতে কলকাতা বিমানবন্দরের সাথে তার প্রথম মেট্রো সংযোগ স্থাপন করতে পারে।

৮০,০০০ যাত্রীর দৈনিক যাত্রী সংখ্যার সাথে, স্টেশনটি ২৯,০০০ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যার মধ্যে একটি বিশাল কনকোর্স এবং পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।

আপাতত, প্ল্যাটফর্ম ১ এবং ২ চালু থাকবে। প্ল্যাটফর্ম ৩, ৪ এবং ৫ অরেঞ্জ লাইন অথবা নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর করিডোরের জন্য তৈরি, যা বিমানবন্দরে ইয়েলো লাইনের সাথে মিলিত হবে।

বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনে পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে – বিমানবন্দর কমপ্লেক্সের সমস্ত কোণ থেকে।

দুটি সাবওয়ে রয়েছে, একটি বিমানবন্দরের গেট নং ১ এর সাথে সংযুক্ত। বিমান যাত্রীদের সুবিধার্থে ২৭০ বর্গমিটার × ১৩ মিটার সাবওয়েতে দুটি ওয়াক্যালেটর স্থাপন করা হয়েছে, যারা সাধারণত ভারী লাগেজ বহন করে।

অন্য সাবওয়ে – ৩৩০ বর্গমিটার × ১০.৫ মিটার – যশোর রোডে খোলা হয়েছে, বিরাটি, বারাসত, মধ্যমগ্রাম এবং উত্তর ২৪ পরগনার অন্যান্য স্থান থেকে আসা যাত্রীদের জন্য।

মেট্রো কর্তা জানান, ‘মেট্রো স্টেশন থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে রেকগুলির জন্য স্ট্যাবলিং ইয়ার্ড রয়েছে, যা ১৭,৪৯৭ বর্গমিটার এবং সাতটি ট্র্যাক জুড়ে রয়েছে।

বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনে ৩০ মিনিটের মধ্যে এসপ্ল্যানেড এবং হাওড়া সহ শহরের প্রায় যেকোনো কোণে, বিভিন্ন ইন্টারফেসের মাধ্যমে পৌঁছানোর জন্য যাত্রী থাকবে।’