শুধু এই তিনজন না। তদন্তে জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় হাত রয়েছে আরও চারজনের। সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন একজন বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী বলেও জানা গিয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তিন পড়ুয়াকে। তবে শুধু এই তিনজন না। তদন্তে জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় হাত রয়েছে আরও চারজনের। সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন একজন বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী বলেও জানা গিয়েছে। বুধবারের ঘটনায় এই চারজনের ঠিক কী ভূমিকা ছিল সেই বিষয়ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে এই নতুন চার অভিযুক্ত ধৃত সৌরভ চৌধুরী ঘনিষ্ঠ। তবে ঘটনার পর তাঁরা ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। প্রাক্তনী সহ বাকিদের খোঁজ নেই মেন হস্টেলেও। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে মৃত্যুর আগে তিন ঘন্টা সিনিয়রদের রুমে রাখা হয়েছিল ওই পড়ুয়াকে। এই তিন ঘন্টায় ঠিক কী ঘটেছিল? এছাড়া অভিযুক্ত প্রাক্তন পড়ুয়া কতটা প্রভাবশালী ছিল সেবিষয়ও প্রশ্ন উঠছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ইকোনমিক্স দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত ও সোশিওলজি দ্বিতীয় বর্ষের পডুয়া মনতোষ ঘোষ। জানা যাচ্ছে শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এই দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এখন পর্যন্ত এই নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। সূত্রের খবর ধৃত দীপশেখর বাঁকুড়ার বাসিন্দা এবং ধৃত মনতোষ হুগলির আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা। শনিবার কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম নিজে থানায় উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ১৯ বছর এবং আর একজনের বয়স ২০ বছর। জানা যাচ্ছে মেইন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে থাকতেন ধৃত সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া মনোতোষ। এই মনোতোষের অতিথি হিসেবেই থাকছিলেন নিহত পড়ুয়া। তাঁর বাবার অভিযোগে মনোতোষের নাম থাকলেও এফআইআর-এ তাঁর নাম নেই। তবে সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মনোতোষ এবং দীপশেখরের নাম উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ধৃত পড়ুয়া দীপশেখরকেও র্যাগিং-এর মোকাবিলা করতে হয়েছিল বলেই দাবি করছেন দীপশেখরের মা সঙ্গীতা দত্ত। এদিন তিনি বলেন,'এই মাত্র খবর পেলাম আমরা ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ও এতে জড়িত নয় বলেই আমার বিশ্বাস। স্কুল জীবন থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ওঁর অভ্যেস। হয়তো কোনও সাহায্য করতে গিয়েই ওকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। আমার ছেলেকে ওখানে একবছর ধরে যা ভোগ করতে হয়েছে! আমি ভেবেছিলাম ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসব। কিন্তু ছেলে আসতে চায়নি। ও স্বপ্নদীপের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। যাঁরা দোষী তাঁরা যেন শাস্তি পায়।
আরও পড়ুন -
মনোতোষ সৌরভ দীপশেখরের বিরুদ্ধে হতে পারে পকসো মামলা, শিশু সুরক্ষা কমিশনের উদ্যোগ
'খুব শীঘ্রই নিষ্পত্তি করতে পারব', যাদবপুরকাণ্ডে মন্তব্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের