সংক্ষিপ্ত

রবিবার স্বপ্নদীপের মৃত্যুর মামলায় যাবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

'আমার ছেলেকে একবছর ধরে অনেক কিছু ভোগ করতে হয়েছিল', দাবি যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত দীপশেখরের মায়ের। রবিবার স্বপ্নদীপের মৃত্যুর মামলায় যাবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ইকোনমিক্স দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত ও সোশিওলজি দ্বিতীয় বর্ষের পডুয়া মনতোষ ঘোষ। যদিও ধৃতদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে তাঁদের বিশ্বাস তাঁদের ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। এই প্রসঙ্গে দীপশেখেরের বাবা মধুসূদন দত্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,'আজ সকালেই জানতে পারলাম ছেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এখনও অব্দি বেশি কিছু জানা নেই। আমার বিশ্বাস আমার ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। গতকাল রাতেই ছেলের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।' তিনি আরও বলেন,'একজন বাবা হিসেবে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক এটাই চাই। আমিও একজন সন্তানের বাবা। আমার ছেলে যদি যুক্ত থাকে সেও যেন বাদ না যায়। তবে আমার বিশ্বাস ও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। আমার ছেলেও জানিয়েছে সে কোনও ভাবেই জড়িত নয়। তদন্তের স্বার্থেই হয়তো পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।'

অন্যদিকে ধৃত পড়ুয়া দীপশেখরকেও র‍্যাগিং-এর মোকাবিলা করতে হয়েছিল বলেই দাবি করছেন দীপশেখরের মা সঙ্গীতা দত্ত। এদিন তিনি বলেন,'এই মাত্র খবর পেলাম আমরা ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ও এতে জড়িত নয় বলেই আমার বিশ্বাস। স্কুল জীবন থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ওঁর অভ্যেস। হয়তো কোনও সাহায্য করতে গিয়েই ওকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। আমার ছেলেকে ওখানে একবছর ধরে যা ভোগ করতে হয়েছে! আমি ভেবেছিলাম ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসব। কিন্তু ছেলে আসতে চায়নি। ও স্বপ্নদীপের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। যাঁরা দোষী তাঁরা যেন শাস্তি পায়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ইকোনমিক্স দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত ও সোশিওলজি দ্বিতীয় বর্ষের পডুয়া মনতোষ ঘোষ। জানা যাচ্ছে শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এই দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। সূত্রের খবর ধৃত দীপশেখর বাঁকুড়ার বাসিন্দা এবং ধৃত মনতোষ হুগলির আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা। শনিবার কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম নিজে থানায় উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ১৯ বছর এবং আর একজনের বয়স ২০ বছর। জানা যাচ্ছে মেইন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে থাকতেন ধৃত সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া মনোতোষ। এই মনোতোষের অতিথি হিসেবেই থাকছিলেন স্বপ্নদীপ। স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগে মনোতোষের নাম থাকলেও এফআইআর-এ তাঁর নাম নেই। তবে সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মনোতোষ এবং দীপশেখরের নাম উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।