সংক্ষিপ্ত

রবিবার রেড রোডে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিনীত গোয়েল স্পষ্টই জানালেন যাদবপুরের ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার কিনারা হবে খুব শীঘ্রই। জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। রবিবার রেড রোডে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিনীত গোয়েল স্পষ্টই জানালেন যাদবপুরের ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিনীত বলেন,'যাদবপুরের ঘটনায় রবিবার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। একজন।' তিনি আরও জানিয়েছেন,'ইতিমধ্যেই মৃত পড়ূয়ার ময়নাতদন্ত হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারব বলেই আশা।'

প্রসঙ্গত,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ইকোনমিক্স দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত ও সোশিওলজি দ্বিতীয় বর্ষের পডুয়া মনতোষ ঘোষ। জানা যাচ্ছে শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এই দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। সূত্রের খবর ধৃত দীপশেখর বাঁকুড়ার বাসিন্দা এবং ধৃত মনতোষ হুগলির আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা। শনিবার কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম নিজে থানায় উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ১৯ বছর এবং আর একজনের বয়স ২০ বছর। জানা যাচ্ছে মেইন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে থাকতেন ধৃত সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া মনোতোষ। এই মনোতোষের অতিথি হিসেবেই থাকছিলেন স্বপ্নদীপ। স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগে মনোতোষের নাম থাকলেও এফআইআর-এ তাঁর নাম নেই। তবে সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মনোতোষ এবং দীপশেখরের নাম উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।

ধৃত অরাক্তন পড়ুয়া সৌরভ চৌধুরীকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। শনিবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল সৌরভকে। এদিন ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতে সৌরভকে হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সৌরভ চৌধুরী নামের এই পড়ুয়ার বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় তাকে আটক করা হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা থানার খারুষা এলাকার বাসিন্দা সৌরভ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ২০২২ সালে স্নাতকোত্তর হন তিনি। তবে পাশ করে যাওয়ার পরেও গত এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালইয়ের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ায় সৌরভের। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বয়ানে অসঙ্গতি মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এবার সৌরভের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তাঁর বাবা নিরূপ চৌধুরী এবং মা প্রণতি চৌধুরী।