Published : Jul 28, 2025, 04:29 PM ISTUpdated : Jul 28, 2025, 05:25 PM IST
Kolkata Metro Rail News: মেট্রোরেলের উন্নয়নে এগলো আরও একধাপ। বিশ্বের সেরা সব আধুনিক মেট্রো শহরকে টেক্কা দিতে এবার পায়ে পা মেলাল কলকাতা মেট্রোও। কী পদক্ষেপ নিলো? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
বিশ্বের একাধিক আধুনিক শহর যেমন সিঙ্গাপুর, লন্ডন, মস্কো, বার্লিন, মিউনিখ ও ইস্তাম্বুলের পর এবার সেই তালিকায় জায়গা করে নিল কলকাতা মেট্রোও। কলকাতা মেট্রোরেলের মুকুটে নয়া পালক। যুক্ত হল বিদ্যুৎ খরচ বাঁচিয়ে আধুনিক অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেলের সফল ট্রায়াল রান। এবার কলকাতা মেট্রোয়। দীর্ঘ ৩৮ বছরের অপেক্ষার অবসান।
25
থার্ড রেল পরিবর্তনের কাজ সফলভাবে শেষ
২০২৪ সালে জার্মানির হামবুর্গ বন্দর থেকে সমুদ্রপথে অ্যালুমিনিয়াম থার্ড রেল কলকাতা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এর পর গিরিশ পার্ক ও ময়দানের ওয়াই-সাইডিং অংশে পরীক্ষামূলকভাবে এই রেল স্থাপন করা হয়। সাফল্যের পরেই শুরু হয় মূল লাইনের কাজ। প্রথম পর্যায়ে শ্যামবাজার থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার (ডাউন লাইন) এবং শ্যামবাজার থেকে পার্ক স্ট্রিট (আপ লাইন) পর্যন্ত প্রায় ১৯.৬ কিমি অংশে রেলের বদল সম্পূর্ণ হয়েছে। মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন এলাকায় থার্ড রেল পরিবর্তনের কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে।
35
মেট্রো রুটে স্টিলের তৈরি বিদ্যুৎ পরিবাহী থার্ড রেল বদলে ফেলা হল
উন্নত প্রযুক্তি ও শক্তি সাশ্রয়ের দিশায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল কলকাতা মেট্রো। দীর্ঘ ৩৮ বছর পর, ব্লু লাইন তথা উত্তরে-দক্ষিণে চলা মেট্রো রুটে স্টিলের তৈরি বিদ্যুৎ পরিবাহী থার্ড রেল বদলে ফেলা হল উচ্চ পরিবাহী অ্যালুমিনিয়াম থার্ড রেল দিয়ে। মেট্রো রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিবর্তনের ফলে প্রতি কিলোমিটার রুটে বছরে প্রায় ১ কোটি টাকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, যা প্রায় ৮৪% শক্তি অপচয় রোধ করবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পার্ক স্ট্রিট থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার (আপ লাইন) এবং শ্যামবাজার থেকে দমদম (আপ ও ডাউন লাইন) পর্যন্ত থার্ড রেল পরিবর্তনের কাজ চলছে। এটি ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যেই সম্পূর্ণ হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় পর্যায়ে মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত রুটে অ্যালুমিনিয়াম থার্ড রেল বসানোর পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে।
এই অত্যাধুনিক রেল বিদ্যুৎ পরিবহনে অধিক সক্ষম হওয়ায় গাড়ির ত্বরণ বাড়াবে, ফলে ট্রিপের সময় কমবে এবং পিক আওয়ারে দ্রুত পরিষেবা চালানো সম্ভব হবে। এতে পরিষেবার মান ও দক্ষতা বাড়বে। পরিবর্তনের কাজ হয়েছে রাতের অ-কমার্শিয়াল সময়ে, যাতে দিনের পরিষেবা একেবারেই ব্যাহত না হয়। প্রতিদিন ১৫০-২০০ জন শ্রমিক এক বছরের বেশি সময় ধরে এই কাজ করেছেন। পুরো কাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডেপুটি চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (রক্ষণাবেক্ষণ) শ্রী সুমিত কায়াল এবং সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার শ্রী অভিষেক ভার্মা।
55
আরও মৃসণ হবে কলকাতা মেট্রো পরিষেবা
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালুমিনিয়াম থার্ড রেল রক্ষণাবেক্ষণে সহজ, ওয়েল্ডিং ছাড়াই জোড়ার কাজ সম্ভব, এবং স্প্লাইস জয়েন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে রেল যুক্ত করা যায়। ফলে টানেলের মধ্যে তাপ উৎপাদন কমবে, এবং কলকাতার মত আর্দ্র ও উষ্ণ শহরে এর উপকারিতা অনেক বেশি।