Nabanna Abhiyan News: পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যৌথ মঞ্চ, সরকারি কর্মচারী পরিসর পশ্চিমবঙ্গের মতো একাধিক সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে আঁটসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা কলকাতা পুলিশের।
কলকাতায় নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঠেকানো গেল না সোমবার বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একাধিক সংগঠনের নবান্ন অভিযান। যদিও এদিন হাওড়া স্টেশন থেকে শুরু হওয়া এই পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যৌথ মঞ্চ, সরকারি কর্মচারী পরিসর পশ্চিমবঙ্গের মতো একাধিক সংগঠনের মিছিল থমকে যায় হাওড়ার কাছে তেলকল ঘাট রোডে। সেখানেই চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী। অবস্থান বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা।
25
পুলিশে-পুলিশে ছয়লাপ হাওয়া স্টেশন চত্বর
জানা গিয়েছে, সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যৌথ মঞ্চ ও সরকারি কর্মচারি পরিষদের নবান্ন অভিযান ঘিরে আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আন্দোলনকারীদের আটকাতে এদিন অতি সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় পুলিশকে।
35
হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন জায়গা থেকে মিছিল শুরু
হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন জায়গা থেকে মিছিল শুরু হয়। ফোরশোর রোড ধরে কাজিপাড়া হয়ে নবান্ন বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যাবে মিছিল । যদিও পুলিশি বাধায় তেলকল ঘাট রোডেই আটকে যায় মিছিল। সেখানেই তাঁরা বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মিছিলে কমপক্ষে হাজার পাঁচেক মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন বলেও মঞ্চের দাবি।
ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের মিছিল আটকানোর চেষ্টা
জানা গিয়েছে, চাকরি প্রার্থীদের নবান্ন অভিযান রুখতে হাওড়া সিটি পুলিশও তৎপর ভূমিকা নেয়। পুলিশের বক্তব্য ছিল, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সোমবার জমায়েত করলে তা বেআইনি ঘোষণা করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিছিল আটকাতে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ১০ ফুট উঁচু লোহার ব্যারিকেড করা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে রেল মিউজিয়ামের কাছে। এ ছাড়া, গ্র্যান্ড ফোরশোর রোড ও ফোরশোর রোডের রামকৃষ্ণপুর ঘাট গেট এবং জি টি রোডের বঙ্গবাসী মোড়ের কাছে বসানো হয়েছে লোহা ও কংক্রিটের ব্যারিকেড। একই সঙ্গে, শিবপুর কাজিপাড়ার মোড় ও নবান্নর কাছেও ব্যারিকেড করার জন্য বড় বড় লোহার গার্ডরেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
55
অভিযান রুখতে পথে প্রচুর পুলিশ
অভিযান রুখতে পথে নামানো হয়েছে প্রায় দু'হাজার পুলিশকর্মীকে। থাকছেন রাজ্য পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে তিনটি জলকামান। মিছিল ও জমায়েতের উপরে নজরদারি করতে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে ১০টি ড্রোন ওড়ানো হবে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।