রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে এটিএম জালিয়াতির চক্র (ATM Fraud News) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এটিএম জালিয়াতির শিকার হন কয়েকজন ব্যক্তি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (Kolkata Crime News)।
কলকাতা: রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে এটিএম জালিয়াতির চক্র (ATM Fraud News) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এটিএম জালিয়াতির শিকার হন কয়েকজন ব্যক্তি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (kolkata Crime News)।
জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে সার্ভে পার্ক এলাকায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ব একটি ব্যাঙ্কের এটিএমে জালিয়াতির (ATM Fraud) শিকার
হন একাধিক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল গোয়েন্দা বিভাগ। যেখানে একজন প্রতারিত ব্যক্তি ১ লক্ষ টাকা হারিয়েছিলেন। বাঁশদ্রোণী ও ঠাকুরপুকুরে একাধিক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ওই অভিযুক্ত। স্কিমার ব্যবহার করে এবং ভুয়ো হেল্পলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রতারণা করত অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার (Kolkata News) সার্ভে পার্ক এলাকায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম লাগোয়া একটি এটিএমে কোনও কোনও গ্রাহকের ডেবিট কার্ড আটকে যেত। পরে মোবাইলে চলে আসত টাকা তুলে নেওয়ার এসএমএস। কারও ২৫ হাজার, কারও ৩০ হাজার, কারও আবার লাখ টাকারও বেশি তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল (Cyber Fraud News)। এনিয়ে সার্ভে পার্ক এলাকায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় (Crime News)
সার্ভে পার্ক এলাকায় যেসব অভিযোগ জমা পড়ে সেখানে বক্তব্য ছিল, কার্ড দিলে ওই এটিএমে তা গিলে ফেলে। টাকা তোলার পর তা ফিরে আসার কথা। কিন্তু তা আসছে না। ওইরকম কোনও কিছু হলে ব্যাঙ্কের হেল্পলাইনে জানাতে হয়। পরের দিন যত দ্রুত সম্ভব ব্যাঙ্কে এসে কার্ড ব্লক করতে হয়। সার্ভে পার্ক এলাকায় ওই এটিএম-এ যাদের কার্ড আটকে যায় তারা ওই গাইডলাইন মেনেছিলেন। তার পরেও তারা তাদের টাকা বাঁচাতে পারেননি। ওই অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে সার্ভে পার্ক থানা। মেশিনটি পরীক্ষা করা হয়। শেষপর্যন্ত তদন্ত করে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ শাহিল (৩৬)। কলকাতার আনন্দপুরের গুলশান কলোনির বাসিন্দা সে। ধৃত শাহিল এটিএম কিয়স্কে অতিরিক্ত মেশিন লাগিয়ে ATM-এ আসা গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলতেন। তার ফাঁদে পা দিতেই গ্রাহকদের এটিএম কাউন্টারে আটকানো ভুয়ো হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে তাদের এটিএম পিন টাইপ করতে বলতেন। গত এক মাসে ঠাকুরপুকুরের বাঁশদ্রোণীতে সে একাধিক অপরাধ করেছে। তার কাছ থেকে প্রচুর জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তা জানতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।