
ট্যাংরা কাণ্ডের রহস্য যেন ঘনীভূত হচ্ছে। একের পর এক খবর শোনা যাচ্ছে এই অভিজাত দে বাড়ির সম্পর্কে। এলাকার অলিতে গলিতে শুধুই কানাঘুঁসো চলছে, গুঞ্জন প্রতিবেশীদের মধ্যেও। তদন্তকারীরা আসছেন এ বাড়িতে। আর দে বাড়ির সামনে এখন শুধুই উৎসাহী প্রতিবেশীদের ভিড়। অনেকেই বলছেন, কত বড় পরিবার ছিল, কোথায় হারিয়ে গেল সব। অনেকেই এ বাড়ির সম্পর্কে অনেক কিছু জানালেও কেউ মুখ খুলতে চাইলেন না। কিছু কিছু কথা বলে রহস্য আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন। এক বয়স্ক প্রতিবেশী বলেই বসলেন, জানি তো অনেক কিছুই কিন্তু বলতে পারব না। কোথায় ফেঁসে যাব , রিস্ক হয়ে যাবে। কেউ কেউ তো বললেন, এই দে বাড়ির ভেতরের কথা না জানাই ভালো। তবে একবাক্য়ে সকলেই বললেন, এই বাড়ির পরিস্থিতি ভালো ছিল এই দুই ভাইয়েপ বাবা বেঁচে থাকতে। এলাকায় দে পরিবার সম্ভ্রান্ত ফ্যামিলির মধ্যে পড়ে। ধনসম্পদে এই পরিবারের নামডাক রয়েছে এলাকায়। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানালেন, লেদার কোম্পানির মালিক দুই ভাই প্রণয় দে ও প্রসূন দে। যদিও ব্যবসা শুরু তাদের বাবার আমলে। বাবার মৃত্যুর পর সম্পত্তি বিক্রি, বিলাসবহুল জীবনযাপন আর দুহাতে টাকা ওড়ানোই এই ঋণে ডুবে যাওয়ার কারণ। ব্যাঙ্ক ছাড়াও চড়া সুদে বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থা থেকে লোন নিয়ে ব্যবসাতেও বিপুল টাকা ঢেলেছিলেন দুভাই। কিন্তু লোকসানের ধস আটকাতে পারেননি।
ট্যাংরার শীলপাড়া জুড়ে এখন শুধুই গুঞ্জন। দে বাড়ির গলির মুখে প্রতিবেশীদের ভিড়। অনেকে বলছেন, কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল! কিন্তু দে বাড়ির যাঁরা ঘনিষ্ঠ, তাঁদের বক্তব্য কিন্তু ‘রহস্যজনক’। তাঁরা ক্যামেরার সামনে আসতে চান না। মন খুলে কথাও বলতে চান না। তবে এদিক ওদিক নানা কথা বলতে বলতে এক বয়স্ক লোকের বক্তব্য, ‘জানি সবই। বললে লাইফ রিস্ক আছে!’ একেবারে লাইফ রিস্ক? জোড় দিয়ে জিজ্ঞেস করতে তিনিও ততধিক জোড়ের সঙ্গে বললেন, ‘অবশ্যই লাইফ রিস্ক আছে। ভিতরের খবর সকলের না জানাই ভালো। কেউ কেউ ঋণের জন্য এই ঘটনার কথা মানতে পারছেন না। তাদের মত, ওদের যা সম্পত্তি রয়েছে তাতে এই ঋণ মেটানো কি খুবই সমস্যার হতো?
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।