অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে উৎপল মাহাতো, উদয় মাহাতো সহ মোট ৩৭ জনের নাম। এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট (Fake Passport) অফিসে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করাতো তারা।
কলকাতা: ভুয়ো নথি দিয়ে আসল ভারতীয় পাসপোর্ট (Fake Passport) বানানোর চক্রে মোট অভিযুক্ত ১৩০ জন। এর মধ্যে ১২০ জন বাংলাদেশি পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর (Kolkata)। ভবানীপুর পুলিশের চার্জশিটে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। অভিযুক্ত বাকি ১০ জনকে গ্রেফতার করার পরে আটজন বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। জামিনে মুক্ত দু’জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ধৃত আটজনকে জেল হেফাজতে রাখা হবে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত। ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর থানায় জাল পাসপোর্টের অভিযোগ দায়ের হয় (Kolkata News)।
অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে উৎপল মাহাতো, উদয় মাহাতো সহ মোট ৩৭ জনের নাম। এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট (Fake Passport) অফিসে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করাতো তারা। নগরপাল মনোজ বর্মার (Manoj Bharma) নির্দেশে বিশেষ দল গঠন করে শুরু হয় তদন্ত। পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের জমা দেওয়া নথির সত্যতা যাচাই করতে নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হয়। দেখা যায়,আবেদনকারীদের সমস্ত নথিই জাল (Fake Documents)।
সূত্রের খবর, এরপর গত বছর ১১ নভেম্বর পঞ্চসায়রের উপ ডাকঘরে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। জাল নথি দিয়ে আসল ভারতীয় পাসপোর্ট বানানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রিপন বিশ্বাস, দীপক মণ্ডল, সমরেশ বিশ্বাস ও দীপঙ্কর দাস- সহ বেশ কয়েক জনকে (Crime News)। গ্রেফতারের তালিকায় রয়েছেন ডাক বিভাগের কর্মীও। তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে কম্পিউটর,ব্যাঙ্কের জাল নথি, প্রায় ৩৬টি পাসপোর্টের প্রতিলিপি, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা। অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ভুয়ো নথি কারবারের মূলচক্রী দীপঙ্কর। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত চালিয়ে ১৩০ জন অভিযুক্তের তথ্য হাতে আসে পুলিশের। গত বুধবারেই ৬০টি ভুয়ো পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। পরে পুলিশের চার্জশিটে উঠে আসে অভিযুক্তদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি ও পলাতক (Bangladeshi)।