আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) মামলা দায়ের হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত মোট তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) মামলা দায়ের হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত মোট তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী এবং আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলাই প্রধান বিচারপতির এজলাসে দায়ের করা হয়েছে।
মামলাকারীদের দাবি, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে কোনও আস্থা নেই। স্বাধীন কোনও তদন্ত সংস্থা বা সিবিআই-এর (CBI) হাতে হস্তান্তরের আবেদন জানানো হয়েছে সেই মামলায়। মামলাকারী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী জানান, “রাজ্যের নাগরিকদের পক্ষ থেকে এই মামলা করা হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত।”
মামলাকারীরা আরও দাবি করেছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার আবেদন জানানো হয়েছে। অন্তত ৬ মাসের জন্য পর্যাপ্ত ব্যাক আপ সহ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দাবি করেছেন তারা।
সেইসঙ্গে, মহিলা চিকিৎসক এবং ছাত্রীদের জন্য উপযুক্ত বিশ্রামের স্থান ও শৌচালয় তৈরির আবেদনও জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলাতেও একইভাবে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এই প্রসঙ্গে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “এটিও একই রকমের একটি ঘটনা।” আগামী মঙ্গলবার, এই মামলাগুলির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। এমনকি, সিসিটিভি ফুটেজ সহ নানা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নৃশংস অত্যাচার করে খুনের কথা সে স্বীকার করে নিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।