সংক্ষিপ্ত

ত্রিপুরায় রাতভর পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে বিজেপিকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি 'হামলা থেকে মামলা, যত এসব করবে, তত বোঝা যাবে, ভয় পেয়েছে বিজেপি' তোপ দেগে বলেন তিনি।
 

ত্রিপুরায় রাতভর পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে বিজেপিকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি 'হামলা থেকে মামলা, যত এসব করবে, তত বোঝা যাবে, ভয় পেয়েছে বিজেপি' তোপ দেগে বলেন তিনি।

আরও পড়ুন, Tripura:'রোজই আমাদের নামে এখানে মামলা হয়, ২-৪ টে হোক না ওদের নামেও', দাবি সায়ন্তনের

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটারে লিখেছেন, 'আমবাসা। রাতে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশের হানা। তুলে নিয়ে যাওয়া। অন্ধকারে অতিসক্রিয়তা। অন্ধকারের জীবদের মতো আচরণ। গুন্ডারাজ, পুলিশরাজ দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না। হামলা থেকে মামলা, যত এসব করবে, তত বোঝা যাবে, ভয় পেয়েছে বিজেপি।' প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মিশন ত্রিপুরা উপলক্ষে যান  তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেবার গাড়ির ভিতরে বসে গাড়ির পিছনে অনুসরণকারী বাইকবাহিনীর ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন। তাঁর অভিযোগ, বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। বিভিন্ন জায়গায় বাইক বাহিনী ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। কুণাল ঘোষ টুইটে লেখেন, 'ত্রিপুরায় যতক্ষণ ছিলাম, যেখানেই যাই, একটু দূরত্ব রেখে অনুসরণ করে গেল বাইকবাহিনী। ওখানে গ্রামে তাণ্ডবের কথা শুনেছি। শহরেও নজরদারি। পিছনে থাকছে। ফোনে জানাচ্ছে কাউকে।' এর পরেই বিজেপিকে নিশানা করে ব্যঙ্গ করে বলেন,' আমার পেছনে এত সময় দেওয়ার জন্য ছেলেগুলির কত কষ্ট হল। আহা রে, ধন্যবাদ বিজেপি। আবার যাব।'

"

আরও পড়ুন, 'ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস নেই, শাহের নির্দেশেই আক্রমণ', SSKM-এ এসে বিস্ফোরক মমতা
 যদিও তারপরই ঘটনা মোড় নেয়। শনিবার ত্রিপুরায় এসে দেবাংশু সহ তৃণমূলের যুব নেতা-নেত্রীরা আক্রান্ত হন। প্রতিবাদে শনিবার রাত থেকেই ত্রিপুরার খোয়াই থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতারা। সূত্রের খবর, রবিবার ভোর রাতে মহামারী আইনে ত্রিপুরায় দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ ১১ জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই তৃণমূলের যুব নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। খোঁয়াই থানায় রুদ্র মূর্তি ধরেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হওয়ায় ধৃতদের তোলা হয় আদালতে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু সহ তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব থানাতেই ছিলেন। এদিকে পরে তৃণমূলের যুব নেতা জামিন মেলে। আক্রান্তদের কলকাতায় ফিরিয়ে এনে এসএসকেম-এ ভর্তি করা হয়। কিন্তু তারপরেই শান্তি নামেনি। পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যাবহার করার অভিযোগে, অভিষেক, ব্রাত্য, কুণাল সহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ত্রিপুরা পুলিশ। আর এবার এফআইআর-র পর মিশন ত্রিপুরার লক্ষ্যে 'হামলা থেকে মামলা, যত এসব করবে, তত বোঝা যাবে, ভয় পেয়েছে বিজেপি' বলে টুইটে বিজেপিকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ।

 

 

 আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

 

YouTube video player