'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পুতিন এবং জেলেনস্কিকে বুঝিয়ে বলতে পারেন যুদ্ধটা বন্ধ হলে তো ভালই হয়', শনিবার ফের মমতা-ফিরহাদকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো (Mamata Banerjee) পুতিন এবং জেলেনস্কিকে বুঝিয়ে বলতে পারেন যুদ্ধটা বন্ধ হলে তো ভালই হয়', শনিবার ফের মমতা-ফিরহাদকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন ইউক্রেন ইস্যুতে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওনারা দেশের মধ্যে রাজ্যের লোককে আনতে পারেননি প্যানডেমিক সিচুয়েশনে। এখন বড় বড় কথা বলছেন। যারা কিছু করতে পারে না তারা লোকের সমালোচনা করে। লকডাউনে দেশের মধ্যে লোক আনতে পারেননি। আর বিদেশে যেখানে যুদ্ধ হচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনা করছেন।'
শনিবার ফের সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে ইউক্রেন ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এরপরেই চেনা ভঙ্গিতে দিলীপ বলেন,' ওনারা চাইছেন দু ,একজন মারা যাক। সেটা নিয়ে এখানে রাজনীতি হবে। বনধ হবে। কারও সর্বনাশ, কারও পৌষ মাস।' পাশাপাশি এদিন মমতার বক্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পুতিন এবং জেলেনস্কিকে বুঝিয়ে বলতে পারেন যুদ্ধটা বন্ধ হলে তো ভালই হয়। উত্তরপ্রদেশ এগিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই তাই এইসব বলছেন। কীভাবে একজন সন্ন্যাসীকে আক্রমণ করছেন, তা উত্তর প্রদেশের মানুষ ভালোভাবে মেনে নেবে না।'
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের ভোটপ্রচারে যাওয়ার আগে বিজেপি সরকারকে ঠুকে সেদিন কথা বলেছিলেন মমতা। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় ছাত্রদের ইস্যুতে মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপির মন্ত্রীরা বড়বড় লেকচার ছাড়ছেন। কিন্তু দেশের প্রয়োজনে কাজের কাজ কিছু করছেন না।দেশের প্রয়োজনে , কাউকে বাঁচানোর প্রয়োজনে আমাকে যদি যুদ্ধে যেতে হয়, তাহলে আমি যুদ্ধে যেতেও রাজি।'
এরপরেই সোজা প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিনমাস আগে থেকে সব জানতেন। তাহলে কেন ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেননি প্রধানমন্ত্রী। তাহলে তাঁদের বাঙ্কারে থাকতে হতো না। খাবারের জন্য কাঁদতে হতো না। মৃত্যুও হতো না।' আর এরপরেই দিলীপ ঘোষ বলেন, এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ওনার যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে উনি যান। সারা বিশ্বের মধ্যে মোদী একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি ভারতীয় ছাত্রদের সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। ভেবেছিলেন কিছু ভারতীয় যুদ্ধে মারা যাবে। ওনারা রাস্তায় নামবেন। আন্দোলন করবেন।'
আরও পড়ুন, মেয়ের হাতে মিষ্টি খেতে পারবেন ভাবেননি, ইউক্রেন ফেরৎ অন্বেষাকে পেয়ে এখনও বুক কাঁপছে বাবার
অপরদিকে, উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী সফরে খেলা হবে প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উনি অখিলেশ যাদবের খেলাই শেষ করতে গেছেন। কালকে যেভাবে উনি মঞ্চে ভাষণ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মানুষ কিভাবে নেবেন যোগী ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সম্পর্কে যেভাষা ব্যবহার করেছেন আমার মনে হয় উত্তরপ্রদেশের মানুষ ভালো ভাবে নেবেন না।'