৩০০ বছরের পুরোনো বেড়া উৎসব পালন মুর্শিদাবাদে, মধ্যরাতে মায়াবী আলোয় মেতে উঠল নবাব নগরী

ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে বেড়া উৎসব পালিত হল মুর্শিদাবাদে। রাত গভীর হতেই অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, ভাগীরথীর নদীর বুকে ভাসিয়ে দেওয়া হল ঐতিহ্যের বেড়া।

Asianet News Bangla | Published : Sep 18, 2021 8:18 AM IST / Updated: Sep 18 2021, 01:56 PM IST

ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে বেড়া উৎসব পালিত হল মুর্শিদাবাদে। রাত গভীর হতেই অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে যাবতীয় রীতি-নীতি মেনে অতিমারি কালে সকল রকমের সাবধানতা অবলম্বন করে মুর্শিদাবাদে পালিত হল ৩০০বছরের অধিক প্রাচীন ঐতিহ্যের আলোর 'বেড়া উৎসব' ।

আরও পড়ুন, প্রবল বর্ষণে নদী বাঁধ ভেঙে ভাসল ২ মেদিনীপুর, 'জলের তলায় ৪০ হাজার পরিবার'

মধ্য রাতে ভাগীরথীর নদীর বুকে ভাসিয়ে দেওয়া হল ঐতিহ্যের বেড়া

 শুক্রবার মধ্য রাতে প্রায় আলো আধারিতেই  ভাগীরথীর নদীর বুকে ভাসিয়ে দেওয়া হল ঐতিহ্যের বেড়া। আকুল হয়ে উপভোগ করলেন মানুষ থেকে শুরু করে নবাব পরিবারের সদস্যরা।প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শেষে সড়াম্বরে পালিত হয় বেড়া উৎসব । উৎসবের প্রচলন নিয়ে ঐতিহাসিক দের মধ্যে বিতর্ক থাকালেও মনে করা হয় পারস্যে প্রথম এই ঐতিহাসিক উৎসবের সুচনা হয় ।মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ  বিশ্বাস করেন 'খাজা খেজের' অত্যন্ত জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন , তিনি জলের দেবতাও বটে জল পথে যে কোনও বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই উৎসবের আয়োজন ।আবার কেউ কেউ মনে করেন রাজত্বের সুখ সমৃদ্ধি লাভ করতে আলোর এই উৎসব । তবে সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্ব কালে  জাহাঙ্গীর নগর অর্থাৎ  বাংলাদেশের ঢাকা তে বাংলার সুবাদার মুকরম খা এই উৎসবের প্রথম প্রচলন করেন , পরবর্তীতে ১৭০৮ খ্রিষ্টাব্দে নদী পথের যাত্রাকে শুভ করতে  নবাব নগরীতে বেড়া উৎসব চালু করেন মুর্শিদ কুলি খাঁ ।

আরও পড়ুন, Bhabanipur By Election:'তালিবান তো বাংলাতেই আছে', ভবানীপুরে 'গোপন প্রচার' নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ

১৭০৮ খ্রিষ্টাব্দে নবাব নগরীতে বেড়া উৎসব চালু করেন মুর্শিদ কুলি খাঁ 

তখন থেকেই বেড়াকে নিয়ে জেলা ও জেলার বাইরের মানুষের মধ্যে উৎসাহের অন্ত ছিল না ।এক সময় আমন্ত্রিত হতেন বড় লাট , গভর্নর জেনারেল , বিভিন্ন রাজ্যের রাজা- জমিদার তাদের নবাবী সম্মান দেওয়া হত। হাজারদুয়ারির সামনে ভাগীরথীর  পাড়ে আলোর রৌশনায় শোভা পেত নবাব নগরী , আর নদী বক্ষে কলার ভেলায় সাজিয়ে তোলা হত বেড়া ।এই ব্যাপারে নবাব বাহাদুর সৈয়দ আব্বাস আলী মির্জা ভারাক্রান্ত মনে বলেন,' করোনার কারণে বেড়াকে ঘিরে মানুষের আবেগ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রকাশ হতে পারল না। অপেক্ষায় রইলাম সামনে বছরের জন্য।'

 আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

Share this article
click me!