'এটাই যথেষ্ট', গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ঘাসফুল শিবিরও নির্বাচনে আগে গোয়া নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন। তিনি একাধিকবার এই রাজ্যে গিয়েছিলেন।  জনসভাও করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে এই রাজ্যে বিশেষভাবে নজর দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Saborni Mitra | Published : Mar 11, 2022 12:39 PM IST

গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে (Goa Election 2022) খাতা খুলতে পারেনে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তারওপর জোট সঙ্গী ছেড়ে চলে যাওয়া- সবমিলিয়ে উপকূলবর্তী রাজ্যে একটু বড়ই ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু তারপরেও হার মানতে রাজি নন অদোম্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন সাংবাদিকদের  তিনি জানিয়েছেন গোয়াতে মাত্র তিন মাস আগেই পা রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাতেই এই রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এটাই যথেষ্ট। এই ফল খুব একটা হতাশাজনক নয় বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ঘাসফুল শিবিরও নির্বাচনে আগে গোয়া নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন। তিনি একাধিকবার এই রাজ্যে গিয়েছিলেন।  জনসভাও করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে এই রাজ্যে বিশেষভাবে নজর দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  তৃণমূলের নেতাদেরও যাওয়া আসা লেগেছিল এই রাজ্যে। রাজ্যে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। 

এই রাজ্যের একদল কংগ্রেস নেতা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফেলেইরো। তারপর আরও বেশ কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়কও কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। শুধুরাজনীতিবিদ নয়। এই রাজ্যের বুদ্ধিজীবিদেরও দলে টেনেছিল তৃণমূল। যারমধ্যে অন্যতম ছিলেন লিয়েন্ডার পেজ। ভোটে লড়াই করলেও তিনি হেরে যান। অন্যদিকে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ নাফিসা আলিও যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোয়ায় অধরাই থেকে যায় তৃণমূলের স্বপ্ন। 

রাজনীতিবিদদের মতে ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন তেমন সুবিধে হবে না এই রাজ্যে। সেইকারণে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রস্তাবই দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে বরাবারের মত এবারও উদাসীন ছিলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সনিয়া গান্ধীর মুখেও জোন নিয়ে তেমন বার্তা ছিল না। গোয়া কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা পি চিদম্বরম অবশ্য বলেছিলেন কোনও জোট প্রস্তাব আসেনি তৃণমূলের দিক থেকে। কিন্তু ভোটের পর কংগ্রেস আপ আর তৃণমূলের সঙ্গে প্রয়োজনে জোট বাঁধতে পারে বলেও জানিয়েছিল। কিন্তু তার আর প্রয়োজনই নেই। তিন নির্দল ও গোয়ায় তৃণমূলের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির সমর্থন ৪০ আসনের বিধায়নভায় বিজেপির হাতে রয়েছে ২৫ আসন। 

ভোটের ফলাফল নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা এদিন একহাত নেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, কংগ্রেস তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। অন্য কোনও দল বা দেশের মানুষের বিশ্বাস করা উচিৎ নয়। তিনি বলেন একটা সময় কংগ্রেস সংগঠনের মাধ্যমে গোটা দেশে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল। কিন্তু এখন সেই পথে যাওয়ার আগ্রহ কংগ্রেস হারিয়ে ফেলেছে। আগে দলের সংগঠন জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন কংগ্রেসকে। আগামী দিনে নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে সবরাজনৈতিক দলের একজোট হয়ে লড়াই করার জরুরি বলে আবারও দাবি করেছেন তিনি। 

রুশ সেনার ধ্বংসলীলা, যুদ্ধের ১৫দিনে বিমান হানা ইউক্রেনের শিশু হাসপাতালে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আপাতত থামছে না, তুরস্কে তৃতীয় আলচনায় অগ্রগতি হল না

'সাহেব সবই জানেন যুদ্ধ হবে ২০২৪-এ', চার রাজ্যে বিজেপির জয়ের পর মোদীকে ঠুঁকলেন প্রশান্ত কিশোর

Share this article
click me!