বিজেপির অভিযোগ, বাবলু পাসওয়ান নামে তাঁদের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা বিনোদ নুনিয়ার দাবি, আহত বিজেপি কর্মী মদ খেয়ে পড়ে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলেছেন।
রবিবার আসানসোল পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচন ঘিরেও রাজনৈতিক অশান্তি উঠল চরমে। হাতাহাতি থেকে ক্রমে বিপক্ষ শিবিরের ওপর নৃশংস আক্রমণ শাসক এবং বিরোধী দলের।
২১ তারিখ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জামুরিয়া এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিশের সামনেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ও বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, পাণ্ডবেশ্বর, বীরভূম ও বারাবনি থেকে বাইরের লোক ঢুকিয়ে বুথ লুঠের চেষ্টা চালিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। রিগিং-এর প্রতিবাদে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর জে কে নগর মোড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পদ্ম শিবিরের সমর্থকরা। প্রতিবাদের জন্য এলাকা অনেকাংশে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক ভিড় শুরু হলে বাধা দিতে যায় পুলিশ। তখন পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। এরপর সেই স্থানে চলে আসে তৃণমূল সমর্থকরাও। দুই পক্ষের সমানে সমানে বাদানুবাদ শুরু হয়। তপ্ত বাক্য বিনিময় চলতে চলতে তা এগিয়ে যায় হাতাহাতির দিকে। ধীরে ধীরে চূড়ান্ত সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বিজেপির অভিযোগ করা ওই কেন্দ্রটিতে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন পুর নিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে আসানসোলের জে.কে নগর মোড় এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা জমায়েত করেছিলেন। সেসময় তৃণমূল নেতা বিনোদ নুনিয়ার নেতৃত্বে শাসক শিবিরের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
তৃণমূলের দাবি ছিল যে, বিজেপি কর্মীরা ‘বহিরাগত’। উত্তপ্ত স্থলে পৌঁছে পুলিশ দুই যুযুধান পক্ষকেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তর্ক বাড়তে বাড়তে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপির অভিযোগ, বাবলু পাসওয়ান নামে তাঁদের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করা হয়।
বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই পুলিশের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ‘‘পুলিশ বীরভূমের গুন্ডাদের পাহারা দিয়ে ঢোকাচ্ছে। ভোট লুঠ করতে সাহায্য করছে। তৃণমূলের দালাল পুলিশ। আপনারা সাবধান হয়ে যান।’’ এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল নেতা বিনোদ নুনিয়ার বক্তব্য, ‘‘লক্ষ্মণ ঘড়ুই দুর্গাপুর থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে জমায়েত করছিলেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার সময় লাঠিচার্জ করেছে।” তাঁর দাবি, তিনি একেবারেই সংঘর্ষের মধ্যে ছিলেন না। আহত বিজেপি কর্মী মদ খেয়ে পড়ে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন-
‘ঠ্যাং ভেঙে দেবো’, হাবড়ায় হুমকি দিয়ে তরুণীকে মেরে রক্তারক্তি ঘটিয়ে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামী
“দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি”, সাংবাদিকদের মাধ্যমে তৃণমূলকেই বার্তা দিলেন পার্থ?
হঠাতই নবান্নে মোদি-শাহর সমালোচক সুব্রহ্মণ্য়ম স্বামী, এবার কি বিজেপি নেতার তৃণমূলে যোগ?