সংক্ষিপ্ত
ঘটনায় এলাকার বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তিনি জানিয়েছেন, ওই মদ্যপ হামলাকারী আসলে এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামী অচিন্ত্য চক্রবর্তী। ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর তৃণমূল দলেরই সদস্য। হামলাকারী নিজে নাকি একটি কলেজে চাকরি করেন।
ডিউটির মাঝে কর্মীদের একসঙ্গে বসে লাঞ্চ। আর তা নিয়েই অশান্তি চরমে উঠল হাবড়ায়। অশান্তি বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গেল একেবারে রক্তারক্তি পর্যন্ত। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়ায়।
অভিযোগ, এক বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ পায়ে হেঁটে সার্ভে করার পর দুপুরের প্রচণ্ড রোদে ক্লান্ত হয়ে কাজের ফাঁকে একটি মাঠে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে বসেন। পুরুষ ও মহিলারা একসঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছিলেন দেখে তাঁদের ‘কাপল’ অর্থাৎ ‘প্রেমিক যুগল’ ধরে নিয়ে শাসাতে চলে আসেন নৈতিক পুলিশ। তাও আবার মদ্যপ অবস্থায়। প্রথমে তিনি নিষেধ করা দিয়ে শুরু করেন। এরপর মেজাজ চরমে উঠলে ‘ঠ্যাং ভেঙে’ দেওয়ার হুমকি দেন।
বেসরকারি সংস্থার ওই কর্মীদের দাবি, হামলাকারী ব্যক্তি প্রফুল্লনগরেরই প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামী। অভিযোগ, কর্মীদের ওই দল যখন তাঁর হুমকিতে প্রফুল্লনগর হস্টেল মাঠ ছেড়ে চলে যেতে যায়, তিনি তখন পিছিয়ে পড়া এক যুবতীর হাত ধরে টেনে তাঁর ওপর একের পর এক ঘুষি চালাতে থাকেন। প্রচণ্ড আঘাতে ওই যুবতীর নাক এবং চোখের কোণ ফেটে যায়, ঝরঝর করে রক্ত পড়তে থাকে এবং তিনি কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তারপরেও ওই মদ্যপ ব্যক্তি নাকি আরও বড় দলবল ডেকে নিয়ে আসেন ওই যুবক যুবতীদের মারার জন্য।
শনিবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার প্রফুল্লনগর হস্টেল মাঠ এলাকায়। ঘটনার পর আহত যুবতীকে স্থানীয় হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেখানে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় তাঁকে বারাসাত হাসপাতালেও রেফার করে দেওয়া হতে পারে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অভিযোগ জানিয়ে হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকার বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জোর গলায় জানিয়েছেন, ওই মদ্যপ হামলাকারী আসলে এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামী অচিন্ত্য চক্রবর্তী। ওই কাউন্সিলর তৃণমূল দলের একজন সদস্য। হামলাকারী অচিন্ত্য চক্রবর্তী নিজে নাকি একটি কলেজে চাকরি করেন। ঘটনাটি হাবড়ার সমস্ত মানুষের কাছে লজ্জাজনক বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। হাবড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সীতাংশু দাস অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন যে, প্রশাসন সম্পূর্ণ ঘটনাটির সঠিক তদন্ত করবে এবং দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি উপযুক্ত শাস্তি পাবেন।
আরও পড়ুন-
“দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি”, সাংবাদিকদের মাধ্যমে তৃণমূলকেই বার্তা দিলেন পার্থ?
নদীর বালি তোলার বরাত দিতে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন অনুব্রত, ঠিকাদারের অভিযোগে ফের শোরগোল
প্রতারণাকাণ্ডে জড়িত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ অমিত? হাবড়ায় সর্বস্বান্ত ডিভোর্সি মহিলা