চাকরি সংক্রান্ত 'রহস্যজনক' চিঠি পেলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন-মমতা পাহাড়ে বৈঠকের পর দিনই চিঠি

Saborni Mitra   | AFP
Published : Oct 25, 2025, 09:35 AM IST

বছর পাঁচেক আগেই চাকরি থেকে অব্যাহতি। কিন্তু এত দিন পরেই সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি পেলেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে চিঠি পাওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। 

PREV
17
চিঠি পেলেন বৈশাখী

বছর পাঁচেক আগেই চাকরি থেকে অব্যাহতি। কিন্তু এত দিন পরেই সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি পেলেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে চিঠি পাওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। পাশাপাশি চিঠিতে লেখা দুটি তারিখ নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে।

27
চিঠি পাওয়ার দিন

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানাচ্ছেন, চিঠি পাওয়ার ওপরে ডানদিকে তারিখ লেখা রয়েছে ৮ অগস্ট, ২০২৫। অর্থাৎ মাস দুইয়েক আগে। কিন্তু বৈশাখী জানাচ্ছেন তিনি চিঠি হাতে পেয়েছেন ১৬ অক্টোবর। এক বার্তাবাহক শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে চিঠি দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি দার্জিলিং ছিলেন বলেও জানিয়েছেন।

37
বৈশাখীর কথা

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, '১৬ অক্টোবর সকালে বিশেষ বার্তাবাহকের হাত দিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর আমাদের ফ্ল্যাটে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আমরা তখনও দার্জিলিং-এ। সেদিন রাতে কলকাতায় ফিরেছি। চিঠিটি যদি সত্যিই ৮ অগস্টে চিঠি লেখা হয়ে থাকে তাগলে গোটা উচ্চশিক্ষা দফতর ছুটিতে থাকাকালীন ১৬ অক্টোবর কেন সেটা পাঠান হল? তা আমার কাছে রহস্যের।'

47
ব্রাত্য বসুর বক্তব্য

একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, তিনি চিঠির বিষয়ে কিছু জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে চিঠি নিয়ে কিছু সংশয় যে রয়েছে তা বৈশাখী ও ব্রাত্যর কথায় স্পষ্ট।

57
চিঠির কারণ

বেনায়াপুকুর এলাকার মিল্লি আমিন কলেজে পড়াতেন বৈশাখী। তিনি সহকারী অত্যাপিকার পাশাপাশি আর্থিক বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকও ছিলেন। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথমবার ইস্তফা দেন। কিন্তু সেই ইস্তফা গৃহীত হয়নি। এরপর ২০২০ সালে ৪ ডিসেম্বর বৈশাখীকে রামমোহন কলেজে বদলি করা হলেও তিনি কাজে যোগ দেননি। শিক্ষা দফতরকে পাল্টা চিঠি লিখে তিনি ইস্তফা দেন।

67
ইস্তফা নিয়ে জটিলতা

বৈশাখীর ইস্তফা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। কারণ কারণ ২০১৮ ও ২০২০ সালে বৈশাখী ইস্তফা দেওয়ার সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২১ সালে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে ব্রাত্য বসু জানিয়ে দেন, ২০২০ সাল নয়, ২০১৯ সালেই বৈশাখী কাজ ছেড়ে চলে গেছেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে রামমোহন কলেজে তাঁর বদলি সংক্রান্ত নির্দেশও বাতিল করা হয়েছিল।

77
বেতন ফেরত!

তাই সেই চিঠির অর্থ হল কাজের শেষ এক বছর বৈশাখী যে বেতন নিয়েছেন তা তাঁর প্রাপ্য নয়। সেই সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা ও ডিডিও হিসেবে বেতন পেতেন। ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেগুলিরও কোনও বৈধতা থাকছে না। সেক্ষেত্রে বৈশাখীকে কর্মজীবনের শেষ এক বছরের বেতন ফেরত দিতে হতে পারে। তবে শোভন যেদিন মমতার সঙ্গে দার্জিলিংএ বৈঠক করেছিলেন তারপর দিনই বৈশাখীর এই জাতীয় চিঠি পাওয়া নিয়ে রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories