শালবনির জনসভায় কুড়মি আন্দোলনের সমালোচনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, পিছনে রয়েছে বিজেপি। মণিপুরের মত পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার অভিযোগ করেছে বিজেপি জাতিগত দাঙ্গা করার পরিকল্পনা করছে তাঁর রাজ্যে মণিপুরের মত পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। তিনি রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলার নিন্দা করেছেন। বলেছেন, শুক্রবার ঘটনার পিছনে কুড়মি সম্প্রদায়ের নয়, বিজেপির কর্মীদের হাত রয়েছে।
শানবনিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, 'মণিপুরে জাতিগত দাঙ্গার পিছনে ছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবির পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একই ভাবে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বিজেপি এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে যেখানে আদিবাসী কুড়মিদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সেনা বাহিনীকে ডাকতে হয়। সেনাবাহিনীকে গুলি করার আদেশ দিতে হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গায় ইন্ধন দেওয়ার চেষ্টা যারা করছে তাদের কিছুতেই রেহাই দেওয়া হবে না।
গতকালই রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হয়েছিল। তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মমতা বলেন, 'আমি গতকালের হিংসার নিন্দা করি। কুড়মি সম্প্রদায়ের ছদ্মবেশ নিয়ে বিজেপি কর্মীরা এই হামলার পিছনে ছিল।' তিনি আরও বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার কর্মসূচি থামাতেই এই হামলা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের এই জনসংযোগ কর্মসূচি বন্ধ করা হবে না বলেও জনসভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শালবনির আগে ণমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায এগরায় গিয়েছিলেন। সেখানে অবৈধ বাজি কারখানায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের সঙ্গে কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , এগরার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন। বেআইনি বাজি কারখানায় মৃত ও আহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয় হোম গার্ডের চাকরির নিয়োগপত্রও। এছাড়া তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পড়াশোনা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্যও জেলাপ্রশাসনকে সাহায্য করার নির্দেশ মমতার। এদিন গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে মমতা বলেন, 'আমি জানি দুঃখ কখনও শেষ হয়ে যায় না। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। বাজি কারখানায় মৃতদের পরিবারকে দুর্বল না হওয়ার অনুরোধ করব।' তিনি আরও বলেন,'এটা আপনার আমার হাতে ছিল না। যিনি দোষী ছিলেন তিনি আর বেঁচে নেই। তার পরিবারের দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু সে তখন মৃতপ্রায় অবস্থায় ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু বলার আগেই তিনি মারা যান।'
আরও পড়ুনঃ
বাংলার প্রতিনিধি শূন্য নীতি আয়োগের বৈঠক, রাজ্যের আবেদনে সাড়া দেয়নি কেন্দ্র- অভিযোগ চন্দ্রিমার