ভাঙড়বাসীর স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী বললেন প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবেন তিনি। আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে বললেন নওশাদ সিদ্দিকি।
'মুখ্যমন্ত্রী বললেই ভাঙড় থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেব।' জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে এই বার্তাই দিলেন আইএসএফ-এর নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে নওশাদ বলেন , ভাঙড়ের শান্তি ফেরানোই তাঁর মূল উদ্দেশ্য। আগামী দিনে আরও বড় আশান্তির ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশৎঙ্কা প্রকাশ করেছেন নওশাদ সিদ্দিকি। অন্যদিকে এদিনও নওশাদকে ডেজ প্লাস ক্যাটাগরির নিরপত্তা দেওয়া হয়েছে। যদিও আগে থেকেই তিনি নিরাপত্তার আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি আইএসএফ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহর কাছেও নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন।
নওশাদ বলেন, ভাঙড়বাসীরর স্বার্থে আর ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে কেউ যদি তাঁকে বলেন তাহলেই তিনি সেখান থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেওয়া সমস্ত প্রার্থী তুলে নেবেন। তিনি বলেন, 'হয়তো ভোটকে কেন্দ্র করে আরও বড় গন্ডোগল হতে পারে। শাসকের ছত্রছায়ায় যারা আছে তারাই এই কাজ করতে পারেন। ভোটকে কেন্দ্র করে। যেভাবে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র তারা নিয়ে এসেছিল, আমাদের কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। আমাদের এক কর্মীকে মার্ডার করে। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। আমি আতঙ্কে রয়েছি ভাঙড়বাসীর স্বার্থে। কোনও ভাঙড়বাসীর যাতে ক্ষতি না হয় তারজন্য আমার কাছে কেউ যদি বলে ভাঙড় থেকে আইএসএফ প্রার্থী তুলে নিলে সাখানে শান্তি ফিরবে তাহলে তাদের বুঝিয়ে প্রার্থা পদ প্রত্যাহার করে নেব। শুধুমাত্র ভাঙড়ের শান্তি ফেরানোর জন্য।' শেখানেই শেষ নয়, নওশাদ আরও বলেন, তিনি মারামারি আশান্তির জন্য রাজনীতিতে আসেননি। তিনি শুধুমাত্রই শান্তি চান।
ভাঙড়ের ঘটনার জন্য নাম না করে নওশাদ সিদ্দিকিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান বলেন যে নতুন জিতেছে সেই ভাঙড়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। সেই সেখানে গাড়িতে ভাঙচুর করেছে। তিনি আরও বলেন, যে জিতেছে সেই মুসলিমদের একজায়গায় জড়ো হতে বলেছিলেন। কিন্তু সেই ব্যক্তি বিপথে পরিচালিত করে ভুলপথে চালিত করেছিল। সে সাম্প্রদায়িক স্লোগানও দিয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল রুখে দাঁড়িয়েছে বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশকে ক়ড়া পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। মনোনয়ন পেশ করাকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি শুরু হয়েছিল তা এখনও অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত ভাঙড়ের অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকিকে দায়ী করেছিলেন। টানা অশান্তির কারণে নিজের নিরাপত্তার দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি লিখিছিলেন। সেই চিঠির সূত্র ধরেই কেন্দ্র নওশাদ সিদ্দিকিকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে। শুধু নওশাদ নয়, ভাঙড়ের অপর তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লারও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
ভাঙড়ের জন্য নাম না করে নওশাদকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর, চোপড়ায় ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয় বলেন মমতা
বিজেপি নন্দীগ্রামে তৃণমূল মুক্ত পঞ্চায়েত তৈরি করবে, নির্বাচনের আগেই ঘোষণা শুভেন্দু অধিকারীর