সংক্ষিপ্ত
নিশীথ প্রামানিকের কনভয়ে হামলার তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র নিন্দা করেছেন। কড়া সমালোচনা বিজেপির।
শনিবার সকালে দিনহাটায় আবারও আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্যের বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামানিক। তাঁর কনভয়ে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী এই হামলার সঙ্গে জ়ড়িত। অন্যদিকে সাংবাদিক সম্মেলন শনীক ভট্টাচার্য গোটা ঘটনার দায় চারিয়েছেন তৃণমূলের ওপর। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস চাকরি লুটের পরে ভোট লুটের চেষ্টা করছে।
শুভেন্দুর অভিযোগ
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নিশীথ প্রামানিকের ওপর হামলা হল। তৃণমূলের গুন্ডাদের এই হামলার নিন্দা করেন তিনি। মনে করিয়ে দেন নিশীথ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও নিরাপদ নয়। তারপরই শুভেন্দুর প্রশান তাহলে এই রাজ্যে কী করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বহাল থাকবে। তিনি আরও বলেন বিরোধী প্রার্থী ও বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের অবস্থাও শোচনীয়। তিনি অভিযোগ করেন বিডিও অফিস চত্ত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করার পরেও এজাতীয় ঘটনা ঘটছে।
শমীকের অভিযোগ
অন্যদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় গৃহ প্রতিমন্ত্রী নীতিশ প্রামানিকের গাড়ি লক্ষ্য করে তীর ছোড়া হয়েছে, পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক! পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূলের বদান্যতায় এই কাজ সংঘটিত হয়েছে!তিনি বলেন , তৃণমূল চাকরি লুঠের পরে ভোট লুঠের জন্য কাজ করছে। তিনি আরও বলেন নিরাপদে যাতে ভোট না হয় সেইজন্য মানুষেক টাকায় তৃণমূল সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে । তিনি আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের শারীরিক ভাষা আর তৃণমূলের শারীরিক ভাষা একই। তিনি তৃণমূলের এজেন্টের মতই কাজ করছেন। বিজেপি আরও বলেন, মালদায় তৃণমূলের বিক্ষুদ্ধ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। কিন্তু সেখানে আদতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। শমীক বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে এজাতীয় রাজনীতি দেখা যায় না। সেখানে অনেক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। তিনি বলেন, তৃণূল গণতন্ত্র পছন্দ করে না।
দিনহাটার ঘটনা
শনিবার দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকে সাবেহগঞ্জ বিডিও অফিসের মনোননপত্র পরীক্ষার কাজ চলছিল। বিজেপির অভিযোগ বিডিও অফিস দখল করে রেখেছিল তৃণমূল। প্রায় ১হাজারখানেত তৃণমূল কর্নী সেখানে ছিল। তাতেই আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিডিও অফিসে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। কিন্তু তারপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই পক্ষ সংঘর্ষে জ়়ড়িয়ে পড়ে। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। এই ঘটনার পরই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা নিশীথ প্রামানিকের কনভয় হামলা চালায়। বিজেপির অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ের সামনে বোমাবাজিও হয়। কনভয় তীর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ
তৃণমূলের 'পথের কাঁটা' নির্দল প্রার্থী, কালীঘাটের প্রস্তুতি বৈঠকে নির্মূল করার দাওয়াই নেতাদের
Weather News: খাতায় কমলে বর্ষা ঢুকলেও এখনও তাপপ্রবাহ আর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অব্যাহত বঙ্গে
পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে কড়া সমালোচনা সিভি আনন্দ বোসের, ক্যানিং-এ রাজ্যপাল