পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। তেমনই মনে করা হচ্ছে মালদায় অধীর চৌধুরীর কথা থেকে। এদিন তৃণমূল ও বিজেপি দুটি রাজনৈতিক দলকেই নিশানা করেন প্রদেশ সভাপতি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে এবার আসরে নামলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করেন। পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গে থাকার আবেদন জানান। দলীয় কর্মীদের পঞ্চায়েত ভোটে একজোট হয়ে কাজ করার আবেদন জানান। পাশাপাশি কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে আহ্বান জানান। তাঁর কথায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুটি দলই একে ওপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে। ক্ষুন্ন হচ্ছে রাজ্যের স্বার্থ।
বিজেপিকে নিশানা করে অধীর চৌধুরী বলেন, নির্বাচন আসছে বাজার গরম করতে হবে। তাই রাজ্য ভাগের কথা। কে কাকে ভাগ করবে। বাংলা এক ছিল। একই থাকবে। এই সব নিয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতারা রাজনীতি করে মাঝে মধ্যে। তাতে সমস্যা তৈরি হয় রাজ্যের মানুষের। সমস্যা তৈরী করে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার।
দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মালদায় এসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আগামী পঞ্চায়েত ভোট একসাথে লড়তে হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যারা চোর তারা পঞ্চায়েতের আরাম চেয়ার থেকে চাইবে না সরে যেতে। তিনি আরও বলেন, 'তৃণমূল পার্টির একটাই স্লোগান সময় থাকতে করে খাও।' তাই তারা তাদের জায়গা ছাড়তে চাইবে না বলেও অভিযোগ করেন। তারপরই তিনি সুর চড়িয়ে বলেন ধাক্কা মেরে পঞ্চায়েত, ব্লক আর জেলা পরিষদের সমস্ত পদ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের সরাতে হবে। মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করে এই লড়াই করতে হবে।
মালদার শ্রীপুরের সভা থেকে তৃণমূলকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'যারা নিজের হাত দিয়ে মোদির পা ধরেন তারা কংগ্রেসের হাত কাটতে পারে না। কংগ্রেস দুর্বলদের পার্টি নয়। শহীদদের পার্টি। বুকের মধ্যে হিম্মতের আগুন জালন। আজ না হয় কাল আমরা বাংলায় সরকার গড়ব। আপনি আমাদের মারবেন। আপনার দলের অন্তর কলহের আজ না হয় কাল তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে।' এদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একযোগে বিজেপি এবং তৃণমূলকে নিশানা করেন অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুনঃ
গাড়ি দুর্ঘটনায় সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যু, মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
ধর্ষণের বিচার করার জন্য ডেকে প্রেমিককে সঙ্গে হাত মিলিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলর