সংক্ষিপ্ত

ডিএ নিয়ে মন্তব্য করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ডিএ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেও জনস্বার্থমূলক প্রকল্পের ওপর জোর দেন। আর বলে দেন সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সরকারি প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া।

 

মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকার আর সরকারি কর্মীদের টানাপোড়েনের মধ্যেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল। কারণ তিনি স্পষ্ট করে শনিবার জানিয়েছেন, ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের সাধারণ মানুষের মুখে দুই বেলা অন্ন তুলে দেওয়া। আর সেই দিকেই বেশি জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মীরা ডিএ পায় এটাও চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ডিএ নিয়ে বলেন, সরকারি কর্মীদের কিছুটা হলেও ধৈর্য ধরতে হবে। তিনি বলেন, 'সঠিক সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতে দিয়ে দেবেন। মমতাও চান সরকারি কর্মীরা ডিএ পান।' তারপরই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কথাও চিন্তা করতে হয়। আর সেই কারণেই তিনি বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন। সেই প্রকল্পগুলিকে বর্তমানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখানেই শেষ করেননি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তিনি বলেন, 'যাঁরা ডিএ পাচ্ছেন না তারা কিন্তু দুই বেলা দুই মুঠো খেতে পান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যাদের জন্য প্রকল্পগুলি চালু করেছেন তারা প্রতিদিন বাজারেই যেতে পারেন না। প্রতিদিন ঠিকমত খাবারও পান না। মুখ্যমন্ত্রী সেইসব মানুষদের কথা ভাবছেন। 'শোভনদেব স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের তুলনায় সরকারি প্রকল্পগুলিকেই বর্তমান রাজ্য সরকার বেশি প্রধান্য দিচ্ছে। আর সেই কারণে আটকে রয়েছে ডিএ।

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন রাজ্যের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মানুষ নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই সরকারি চাকরি পান। আর সেক্ষেত্রে ডিএ পাওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে। রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালাতে হবে বলে রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের দিনের পর দিন বঞ্চিত করতে পারে না। এভাবে চললে মেধাবী ছাত্ররা রাজ্য ছেড়ে চলে যাবে। সরকার পরিচালনা আর পরিষেবার মান পড়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রাজ্য সরকার আর রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ডিএ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ চলছে। মামলাও হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে ডিএ মিটিয়ে দেওযার নির্দেশও দিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ডিএ পায়নি রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। পাল্টা রাজ্য সরকারের কর্মীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

হিমাচল প্রদেশে ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী মোদী, গেলেন স্বামী রাধাস্বামী সৎসঙ্গে

ধর্ষণ রুখতে তালিবানি নিদান, প্রকাশ্যে জনতার সামনে ফাঁসিতে ঝোলানোর হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর

গঙ্গা ভাঙনে স্থায়ী সমাধান চাই, দুয়ারে সরকার থেকে মন্ত্রীর সামনে - সর্বত্র একই দাবি নদী তীরবর্তী মানুষদের