Sir In West Bengal: বঙ্গে এসআইআর কার্যকর হওয়ার পর থেকেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এলো আরও বড় তথ্য। বাঁকুড়ায় ধরা পড়ল ভুয়ো ভোটার। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
এসআইআর নিয়ে তরজার মাঝেই এবার বঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় ধরা পড়ল একের পর এক ভুয়ো ভোটার। যা নিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিশানায় রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা নির্বাচন কমিশনকে দুষে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে তোপ তৃণমূল কংগ্রেসের।
25
বাঁকুড়ায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে কী দাবি?
বাঁকুড়ার ১ নম্বর ব্লকের শ্যামপুর গ্রাম আদতে হিন্দু গ্রাম হলেও সেখানের ২৮৫ নম্বর বুথে একের পর এক ভোটারের নামের তালিকা দেখতেই চক্ষু চড়ক গাছ। সবই ভুয়ো ভোটার। এই বুথের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে ১০৪৬ জনের। যাদের প্রত্যেকেই মুসলিম। জানা গিয়েছে, সেই ভোটার তালিকায় নিজেদের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য দেখতে গিয়ে গ্রামবাসীরা দেখেন একের পর এক ভোটার ভুয়ো।
35
কমিশনকে তোপ
আরও জানা গিয়েছে যে, ভোটার তালিকায় ৬ নম্বরে নাম রয়েছে সুয়েরাবানু খাতুনের। এবং ৩২২ নম্বরে রয়েছে রিপন মল্লিক। ৩২৩ নম্বরে মুস্তরা খাতুন। ৪৮৫ নম্বরে আকলিন মুুস্তক মিদ্যার নাম। প্রতিটি নামের পাশে রয়েছে বাবার নাম, ঠিকানা ও বাড়ির তথ্য। এবং প্রত্যেকের বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর। এমনকি সবার ভোটার কার্ড নম্বরও এক।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শ্যামপুকুর তো বটেই আশেপাশের এলাকাতে কস্মিনকালেও কোনও মুসলিম পরিবার ছিলো না। তাহলে এত মুসলিম ভোটারের নাম কীভাবে ভোটার তালিকায় চলে আসলো? ঘটনায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে ভুয়ো ভোটার নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ধরনের ভুয়ো ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসআইআর চলাকালীন বিএলও দিয়ে এই নামগুলো বাদ দেওয়ানো হবে বলেও দাবি করেন সুভাষ সরকার।
55
ঘটনায় কী বলছে তৃণমূল ?
একসঙ্গে এত সংখ্যক ভুয়ো ভোটার রয়েছে। সেই দাবি মেনে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে যে, প্রযুক্তিগত ভুল বা আবেদনের ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। আর এর জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে শাসক শিবিরের আরও দাবি, স্বাভাবিক ভাবেই ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ চলে যাবে।