'আমার বউ চাই!' একাকীত্বে রাত কাটার নিরাশায় ভোটের প্রশিক্ষণেই গেলেন না শিক্ষক, প্রধান লক্ষ্য শুধুই বিয়ের পিঁড়ি

Published : Nov 05, 2023, 07:54 AM ISTUpdated : Nov 05, 2023, 07:55 AM IST
marriage cry

সংক্ষিপ্ত

বিয়ের পিঁড়িই এখন তাঁর জীবনের ধ্যান-জ্ঞান অর্থাৎ, প্রধান লক্ষ্য। শুভ কাজ সম্পন্ন না হওয়া অবধি অন্য যেকোনও কাজ তাঁর কাছে তুচ্ছ! এই মুহূর্তে কিছুই করতে রাজি নন তিনি। তবে, শুধু বউ চাই নয়। চিঠিতে আরও কিছু ‘চাই’-এর দাবি তুলেছেন মাষ্টারমশাই।

ভোটের ডিউটির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের চাপের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনের নিরাশাই গ্রাস করে নিল একজন সরকারি শিক্ষককে। নিরাশার আঁধারে ডুবে নির্বাচনী কাজের প্রশিক্ষণই নিতে গেলেন না তিনি! আশ্চর্যজনক এই কাণ্ড ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। এই রাজ্যের এক শিক্ষক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিয়ের পিঁড়িই এখন তাঁর জীবনের ধ্যান-জ্ঞান অর্থাৎ, প্রধান লক্ষ্য। শুভ কাজ সম্পন্ন না হওয়া অবধি অন্য যেকোনও কাজ তাঁর কাছে তুচ্ছ! এই মুহূর্তে কিছুই করতে রাজি নন তিনি।

-
মধ্যপ্রদেশের ওই শিক্ষকের নাম অখিলেশকুমার মিশ্র। ভোপালের কাছাকাছি অবস্থিত সাতনা জেলার একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে তিনি সংস্কৃত ভাষার শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তাঁকে ভোটের কাজের প্রশিক্ষণীতে ডাকা হয়েছিল। সেই কাজের জন্য গত ১৬ ও ১৭ অক্টোবর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, তিনি সেই ট্রেনিং-এর সরকারি নির্দেশ বেমালুম অবজ্ঞা করে বাড়িতে বসে থাকেন। তার পরেই তাঁর কাছে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়। নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে অনুপস্থিতির কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হলে তিনি নিজের সপক্ষে কী ব্যাখ্যা দেবেন।
-

সরাসরি সরকারের পাঠানো নোটিসের জবাবে নিজের নিঃসঙ্গ জীবনের ব্যথার কথা প্রকাশ করে দিয়েছেন অখিলেশ মিশ্র। তাঁর উত্তর, “আমার সারা জীবনটাই বউ ছাড়া কেটে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি রাত বৃথা চলে যাচ্ছে। আগে আমাকে বিয়ে করতে দিন।” তবে, শুধু বউ চাই নয়। চিঠিতে আরও কিছু ‘চাই’-এর দাবি তুলেছেন মাষ্টারমশাই। তাঁর দাবি, বিয়েতে বউয়ের বাড়ি থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পণ চাই। সেই সঙ্গে ফ্ল্যাট কেনার জন্য ঋণও চাই। সরকারকে তোষামোদ করে তাঁর এও বক্তব্য, “আমি কী করব? আমার বলার কিছু নেই। আপনারা জ্ঞানের সাগর।” 
-
স্বাভাবিক ভাবেই অখিলেশের এমন জবাবে জেলা প্রশাসন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। সাতনা জেলাশাসক অনুরাগ ভার্মা ২ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে কাজ থেকে সাসপেন্ড করে দিয়েছেন।  স্কুল শিক্ষকের একজন সহকর্মী জানিয়েছেন, “বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি অবসাদে ভুগছেন। নয়তো নিজের শোকজ নোটিসের জবাবে এই ধরনের উত্তর দেন?” জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেই নাকি মোবাইল ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছেন অখিলেশ। ফলে এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

 আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

Mamata Banerjee: ‘তৃণমূল বিজেপির কাছে মাথা নত করে না!’ কোচবিহারে রণহুংকার মমতার
BJP News: নিউটাউনে তৃণমূলের বাড়ল অস্বস্তি! গেরুয়া শিবিরে দুই নেতা-কর্মীর যোগদান