সংক্ষিপ্ত
বিজ্ঞাপনদাতারা যুবককে জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি স্পার্ম ডোনেট করায় সক্ষম কিনা। তিনি ‘হ্যাঁ’ বলার পর, তাঁকে কোনও একটি জায়গায় ডেকে বীর্য দান করতে বলা হয়। তারপরেই ঘটে যায় বিপদ!
মানুষের সন্তান ধারণের জন্য কৃত্রিমভাবে বীর্য বেচাকেনার পদ্ধতি ভারতে আইনিভাবে সম্মত। বীর্য দান করার জন্য স্পার্ম ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই যোগাযোগ করতে পারেন পুরুষরা। কিন্তু, সেই পদ্ধতির তোয়াক্কা না করেই, শুধুমাত্র ফেসবুকের পোস্ট দেখে বীর্য দান করতে গিয়েই বড়সড় বিপদে ফেঁসে গেলেন বাংলার এক যুবক।
-
পূর্ব মেদিনীরপুরের ময়না থানার অন্তর্গত এলাকার বিষ্ণুমিশ্রচকে থাকতেন এক যুবক, যাঁর বয়স প্রায় ৩৫ বছর। কর্মসূত্রে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশে থাকতেন। চলতি বছরের অগস্ট মাসে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখতে পান যে, স্পার্ম দান করলেই মিলবে ২৪ লক্ষ টাকা! শুধু তাইই নয়, ২৪ লক্ষ টাকার সঙ্গে পাওয়া যাবে একটি চারচাকা গাড়িও। এই বড়সড় প্রাপ্তির লোভে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই যুবক।
-
বিজ্ঞাপনদাতারা যুবককে জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি স্পার্ম ডোনেট করায় সক্ষম কিনা। তিনি ‘হ্যাঁ’ বলার পর, তাঁকে কোনও একটি জায়গায় ডেকে বীর্য দান করতে বলা হয়। তিনি যে স্থানে ওই কাজ করেছিলেন, সেখানে ক্যামেরা লুকিয়ে রেখে তাঁর নগ্ন ভিডিও রেকর্ড করা হয়। এরপর ময়নার ওই যুবককে তাঁর নিজের ভিডিও দেখানো হয় এবং বলা হয় যে, তিনি যদি বিজ্ঞাপনদাতাদের কয়েক লক্ষ টাকা না দেন, তাহলে তাঁর নগ্ন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে।
-
সম্মানহানির ভয়ে যুবক টাকা দিয়ে দেন এবং এখান থেকেই প্রতারকদের মনে সাহস সঞ্চারিত হয়। তারা যুবকের কাছ থেকে আরও টাকা দাবি করতে থাকে। দফায় দফায় প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা প্রতারকদের হাতে দিয়ে ফেলেন ওই যুবক। এখন প্রতারকরা তাঁর কাছ থেকে আরও টাকা দাবি করছে বলে তীব্র আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি। সর্বশান্ত হয়ে শেষমেশ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হয়েছেন এবং তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।