
North Bengal Natural Disaster: ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর কেটে গেল পুরো দুটো দিন। অথচ এখনও জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ধুপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের জলঢাকা নদী সংলগ্ন দক্ষিণ আলতা গ্রাম ভাটিয়াপাড়ায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াল না প্রশাসন। এখনও স্থানীয় ব্লক বা জেলা স্তরের কোনও প্রশাসনিক আধিকারিক এই গ্রামে এলেন না। খোঁজ নিলেন না কেউই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সর্বস্ব হারিয়ে টিয়ার ও ইরিগেশন বাঁধের উপর কোনওরকমে রাত্রি যাপন করছে প্রায় ১৯২টি পরিবার। নেই বস্ত্র, নেই খাবার নেই, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। শিশু, বয়স্ক মানুষজন, এমনকী গৃহপালিত পশুদের একত্রে বাঁধের উপরেই বসবাস করতে হচ্ছে। সব হারিয়ে এখন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা সরকারি সাহায্য পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন।
গত কয়েক বছর থেকেই গ্রামবাসীরা বাঁধ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সংবাদমাধ্যমে সেই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর সেখানে যান খোদ সেচমন্ত্রী। শুরু হয় বাঁধ নির্মাণের কাজ। সেই কাজ অর্ধসমাপ্ত থাকায় রবিবারের দুর্যোগে টিয়ারের বাঁধের বিশাল একটা অংশ ভেঙে সারা গ্রাম প্লাবিত হয়। জলের স্রোত রীতিমতো গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে, গাছপালা ভেঙে সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথি, খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র-সহ সবকিছুই নষ্ট করে দিয়েছে। সর্বস্ত খুইয়ে আজ এক কাপড়ে বাঁধের উপরে বসবাস করতে হচ্ছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের।
এশিয়ান হাইওয়ে থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই গ্রাম। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও প্রশাসনিক আধিকারিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেননি। একদিকে ভেঙ্গে থাকা বাঁধ দিয়ে অনায়াসে আবারও জল ঢুকে প্লাবিত হতে পারে গ্রাম। সেই আতঙ্কের পাশাপাশি আবার গোটা গ্রামে এত পলি জমে আছে, যে সেগুলি না সরালে কোনওভাবেই থাকা সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে জরুরি নথিপত্র হারিয়ে এবং বস্ত্র-খাদ্য না থাকলেও প্রত্যেকের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছবি। সবার দাবি একটাই, ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত সংস্কার করে দিক প্রশাসন। জোরালো হচ্ছে এই দাবি। এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র এই গ্রামেরই নয়, ধুপগুড়ি ব্লকের আরও বেশ কিছু গ্রাম, যা নদীর তীরবর্তী, সেখানেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।