
Singur Nurse Death: হুগলির সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে রহস্যজনকভাবে মৃত নার্সের দেহ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের রায়নগরে নিজের বাড়িতে ফিরল। দীর্ঘ টালবাহানা, জটিলতার পর এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে নদিয়ার কল্যাণীতে এইমসে নিয়ে যাওয়া হয় মৃত নার্স দীপালি জানার দেহ। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শুরু হয় ময়নাতদন্ত। এইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে মৃত নার্সের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। স্বচ্ছতার স্বার্থে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর মৃত নার্সের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে দেহ নিয়ে যান। কল্যাণী থেকে নন্দীগ্রামের বাড়িতে দীপালির দেহ পৌঁছতেই পরিবারের সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। আত্মীয়-প্রতিবেশীদের মধ্যেও শোকের ছায়া দেখা যায়।
বেঙ্গালুরুতে নার্সিংয়ের কোর্স করতে গিয়েছিলেন দীপালি। সেখান থেকে ফিরে সিঙ্গুরের বোড়াই তেমাথা অঞ্চলে এক নার্সিং হোমে যোগ দেন ২৪ বছরের এই যুবতী। গত গত সোমবার তিনি এই নার্সিংহোমে কাজে যোগ দেন। এরপর বুধবার রাতে ওই নার্সিংহোমেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নার্সিংহোম থেকে ফোন করে বলা হয় দীপালি অসুস্থ। এই খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন, দীপালির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, দীপালিকে খুন করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা নেই। তাই পরিবারের দাবি, এই মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক সিবিআই-কে।
নদিয়ার চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের দাবি, 'প্রথম থেকেই আমরা অভিযোগ করে আসছি, তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত করা হচ্ছে। আমরা মৃতার পরিবারের পাশে ছিলাম। পরিবারের পাশে থেকে আমরাও সিবিআই তদন্তের দাবিতে লড়াই করব।' পাল্টা শাসক দলের কটাক্ষ, ভোটের আগে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে বিরোধীরা। এরই মধ্যে শনিবার নারী সুরক্ষার দাবিতে শ্রীরামপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সিপিআইএম।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।