উত্তরবঙ্গের আনাচে-কানাচে এমন অনেক মন্দির আছে যা ঐতিহাসিক। এই মন্দিরগুলি শুধু ধার্মিক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদেরই আকর্ষণ করে না, পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
ঘন জঙ্গল। যখন-তখন হাতি চলে আসে। জঙ্গলে ময়ূর ঘুরে বেড়ায়। বানরের দলও ঘুরে বেড়ায়। এই পরিবেশেই আছে শ্রী শ্রী ১০৮ জংলি বাবা ভোলেনাথ মন্দির। শিলিগুড়ির কাছে ব্যাংডুবি সেনাঘাঁটির মধ্যেই অবস্থিত এই মন্দির। ১৯৬৫ সালে সেনাবাহিনীর এক সদস্য স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির তৈরির উদ্যোগ নেন। সেই সময় থেকে সেনাবাহিনীই এই মন্দিরে পুজো ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করত। পরবর্তীকালে অবশ্য সাধারণ মানুষকে এই মন্দিরের ভার দেওয়া হয়। তবে এখনও সেনাবাহিনীর সদস্যরা জংলি বাবার কাছে প্রার্থনা করতে আসেন। সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিশ্বাস, জংলি বাবা তাঁদের রক্ষা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই মন্দিরকে জাগ্রত মনে করেন। সারা বছরই জংলি বাবা মন্দিরে ভিড় হয়। তবে শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে ভিড় বাড়ে। তখন জঙ্গলের মধ্যেই মন্দিরের বাইরে অনেক দূর পর্যন্ত লাইন পড়ে যায়। এবারের শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবারেও ভিড় হবে। সেই কারণে পুণ্যার্থীদের কথা ভেবে মন্দিরের বাইরে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে।
জংলি বাবা মন্দিরে যাওয়ার উপায় কী?
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা শিলিগুড়ি রেল স্টেশন থেকে জংলি বাবা মন্দির বেশ দূরে। অটো রিজার্ভ করে যাওয়া যেতে পারে। তবে ট্যাক্সি বা প্রাইভেট গাড়িতে যাওয়াই ভালো। গভীর জঙ্গলে এই মন্দিরের পরিবেশ একেবারে আলাদা। এই কারণে সবারই ভালো লাগে। মন্দিরে যাতায়াতের পথে বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে মোলাকাত হতে পারে।
বালাসন নদীতে স্নান করা যেতে পারে
জংলি বাবা মন্দিরের কাছে বালাসন নদী। বর্ষায় এখন এই খরস্রোতা নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও, অনেক পর্যটকই বালাসন নদীতে স্নান করেন। বালাসন নদীর পাড়ে পিকনিকও করা যেতে পারে। সবমিলিয়ে ব্যাংডুবি ও আশেপাশের অঞ্চল অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Puri Ratna Bhandar: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে গোপন সুড়ঙ্গ? হন্য হয়ে খুঁজছে ASI
দ্বিতীয়বার জন্য খুলল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার, ভিতরের রত্ন কক্ষ থেকে অলঙ্কার স্থানান্তর
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে শুধুই চমক! জানুন কী কী রয়েছে রহস্যময় দুই রত্নকক্ষে