
সুন্দরবন, নদী ঘেরা ব-দ্বীপ। ডাঙায় বাঘ আর জলে কুমির। প্রতিকূল অবস্থায় প্রায় জীবন হাতে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় সেখানের স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর্থিক সংকট রয়েছে। আর ওপর রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের চোখরাঙানি। সবমিলিয়ে কঠিন অবস্থান সুন্দরবনের মানুষদের। এই অবস্থায় স্থানীয়দের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এক বন্য। অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে লোকালয়ে। কখনও কখনও আবার ঢুকে পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি উঠানে। খেয়ে যাচ্ছে পাতা, সবজি।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লক ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। তার মধ্যে পাথরপ্রতিবার জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েত বঙ্গবসাগরের তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে। জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের তটের বাজার সংলগ্ন সতীশ জানার ঘাট এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি হরিণ । কখনো গৃহপালিত পশুর সঙ্গে মাঠে, কখনোই এলাকার বাড়িতে ঢুকে খাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, মাঝেমধ্যে এলাকার মানুষের কাছেও পর্যন্ত আসছে! আদর খেয়ে আবার চলে যাচ্ছে। একদমই নিজের মত আছে। গত পাঁচ বছর ধরে এমনই চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও হরিণকে নিয়ে বিরক্ত হয় না। হরিণটিও তাদের সমস্যা তৈরি করে না।
বাঁচতে মরিয়া সন্দীপ ঘোষ, আরজি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চকে চ্যালেঞ্জ
বিভিন্ন কলেজ ছাত্রীদের দাবি দীর্ঘ প্রায় চার-পাঁচ বছর আগে হঠাৎ করে একটি হরিণ শাবককে দেখতে পাওয়া যায় নদীর চরে ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে। সেখানেই আসতে আসতে হরিণের শাবকটি বড় হতে থাকে । তবে মাঝেমধ্যে এই এলাকার প্রশাসন এবং বনদপ্তরের লোকজন এলাকার মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে যায় হরিণ শাবককে যেন কোনরূপ ক্ষতি করা না হয়। তারপর থেকেই এলাকার মানুষের কাছাকাছি থেকে তাদের আদর যত্নে বড় হয়ে উঠেছে এই হরিন।
শিকল পরিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প 'অবৈধ' ১০৪ ভারতীয়কে দেশে পাঠানেল, তাঁরা বললেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা
বছরের প্রথম থেকেই আবহাওয়ার ভোলবদল, গরমের রেকর্ডে ২০২৪ কে পিছনে ফেলল ২০২৫-এর জানুয়ারি
আর সেই হরিণ নিয়ে এলাকার মানুষের উৎসাহির কোন খামতি নেই। হরিণের ক্ষতি করা তো দূরের কথা! স্থানীয়ার আদর করে হরিণের খাবারও জোগাড় করে দেয় অনেক সময়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।