বন্যা বিপর্যস্ত পাহাড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত তিন দিনের দুর্যোগপূর্ণ উত্তরবঙ্গ সফরে সমতল থেকে পাহাড় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ত্রাণসাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার রাতেই তিনি কার্শিয়াং এ পৌঁছান। মঙ্গলবার তিনি মিরিক ও সুকিয়াপোখড়ি-সহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন এবং দুর্যোগে পরিবার-হারা ও ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে সরাসরি সহায়তা তুলে দিয়েছেন।
25
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মিরিকের লেকের পাশে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান, নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান । পরে তিনি মিরিকের একটি শেল্টার হোমে গিয়ে সেখানে থাকা মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। শিশুদের হাতে চকোলেট, রংপেন্সিল ও খাতা তুলে দেন। এছাড়া দুর্গতদের জন্য প্রশাসনিক সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন এবং প্রয়োজনীয় এলাকায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা জারি রাখতে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।
35
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান
মঙ্গলবার তিনি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন, পাশাপাশি দশজনকে স্পেশাল হোম গার্ডে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। বুধবার দুপুর ১টায় দার্জিলিঙয়ের লালকুঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ এলাকাগুলো কে নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং করবেন; সেখানে দার্জিলিং-কার্শিয়াং-মিরিক-কালিম্পং অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি, পরিকাঠামো সমস্যাসহ উদ্ধার ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা। পুনর্বাসন, পুনর্নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সবরকম সহায়তা দিতে ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য দফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, গত কয়েক দিনের বিপর্যয়ে পাহাড়ে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা থেকে দ্রুত পাহাড়বাসীকে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফেরাতে প্রশাসনকে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
55
দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক
এদিকে পাহাড়ের দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে বুধবারই দার্জিলিংয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিটিএর তরফে ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি টাকা বলে জানানো হয়েছে। আজকে তা রিপোর্ট আকারে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।