বিধানসভার অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল আনা হতে চলেছে। সব ক’টি বিলেই ভোটাভুটির সময় বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
‘ভুল’ করা নিয়ে এবার দলীয় বিধায়কদের বৈঠকে কড়া বার্তা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনের কাজকর্ম শেষ হয় শোকপ্রস্তাবের মধ্যে দিয়ে। এরপর নৌসার আলি কক্ষে তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বক্তৃতা দেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুব্রত বক্সী, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
ওই বৈঠকেই শাসকদলের বিধায়কদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বিধানসভা অধিবেশনের প্রতি দিন সবাইকে হাজিরা দিতে হবে। অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি, ব্যক্তি ভুল করলে তার দায় দল নেবে না এই বার্তাও স্পষ্ট কথায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের সমস্ত বিধায়ককে। সম্প্রতি দলের দুই হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর যে ভাবে বাংলার বিরোধী দলগুলি তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছে, তার জবাব দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
কোনও ব্যক্তি নিজের রাজনৈতিক পদ বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়ার ক্ষমতা ব্যবহার করে যদি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করেন, সে ক্ষেত্রে দল তাঁর কোনও অপকর্মের দায় বহন করতে একেবারেই নারাজ, সেই কথাও জানানো হয়েছে আজকের বৈঠকে। রাজনৈতিক সূত্র মারফৎ জানা গেছে যে, দলের কাছে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন বিধায়কের নামে অভিযোগ এসেছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত এক বিধায়ক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমাদের অনেক নেতাই দলের পদ ব্যবহার করে বৈভবশালী জীবনযাপন করছেন। এতে দলের প্রতি বিরূপ ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে। দল এ সব বরদাস্ত করতে রাজি নয় বলেই শীর্ষ নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছেন।’’
সূত্রের খবর, বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তৃণমূলের মোট ২১৬ জন জনপ্রতিনিধিকে প্রত্যেক দিন দিন হাজিরা দিতে হবে বিধানসভার অধিবেশনে। এই বিশেষ অধিবেশনে কমপক্ষে ছয় থেকে সাতটি বিল আনা হবে। প্রত্যেকটা বিলেই ভোটাভুটির সময় বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যদি কোনও বিধায়ককে অধিবেশন ছেড়ে যেতে হয়, তা হলে পরিষদীয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সে কথা জানিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন-
'মমতার সরকারের অত্যাচার ও হিংস্রতা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের চরম সীমায় পৌঁছে গেছে', তোপ দাগলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ
কেজিএফ-এর ডায়লগে ভিডিও বানিয়ে বিজেপি-কে চূড়ান্ত কটাক্ষ তৃণমূলের, গেরুয়াধারীদের হিংস্রতা দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা
১৪ সেপ্টেম্বর বালুরঘাটে এক বিশেষ স্বাধীনতা দিবস, কেন সারা শহর জুড়ে উদযাপনে মেতে ওঠেন সমস্ত মানুষ?