সংক্ষিপ্ত
পদত্যাগ করলেন কর্ণাটকের জলসম্পদ ও সেচ মন্ত্রী
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে
চাকরি দেওয়ার নাম করে এক মহিলার 'যৌন হেনস্থা' করার অভিযোগ
বিজেপি দলের পক্ষ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে জড়িয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন কর্ণাটকের বিজেপি মন্ত্রিসভার জলসম্পদ ও সেচ মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক মহিলার 'যৌন হেনস্থা' করার অভিযোগ করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের পক্ষ থেকেই তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল।
জারকিহোলির ঘটনা নিয়ে কর্নাটকের উপ-নির্বাচন এবং ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে বিব্রত হতে হত। তা থেকে বাঁচতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমনটাই দাবি সূত্রের। তবে, দলে তাঁর জায়গা আগের মতোই থাকবে, রমেশ জারকিহোলি-কে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
রমেশের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর কিউবন পার্ক থানায় এক মহিলাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতা পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করেন সমাজকর্মী দীনেশ কলহল্লি। তিনি দাবি করেছেন, মন্ত্রীর পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ-এর কাছে অভিযোগটি দেন তিনি। তাপরই মামলা দায়ের করে
কিউবন পার্ক থানার পুলিশ।
দীনেশ কলহল্লির দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, কর্ণাটক পাওয়ার ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেডে চাকরির দেওয়ার অজুহাতে ওই মহিলাকে অতিথিশালায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন জারকিহোলি। অতিথিশালায় তিনি ওই মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেন। মহিলার অভিযোগের পরই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ বলে দাবি করা একটি ভিডিও সামনে আসে। মঙ্গলবার ওই ভিডিও ক্লিপটি কন্নড় সংবাদ চ্যানেলগুলিতেও সম্প্রচার করা হয়। সেই ভিডিওতে মন্ত্রীকে ওই মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই জারকিহোলি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, অভিযোগটি সত্য বলে প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতি করাই ছেড়ে দেবেন। তাঁর দাবি, অভিযোগ শুনে তিনি নিজেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন। ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। মেয়েটিকেও চেনেন না। ভিডিওটিও ভুয়ো বলেই তাঁর দাবি। ঘটনার বিস্তারিত তদন্তও চেয়েছেন তিনি। তবে,তদন্তের আগেই তাঁকে পদত্যাগ করতে বলল দল।